খুঁজুন
শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

ফরিদপুরে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটে লোক দেখানো নিয়োগ সম্পন্নের অভিযোগ!

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:০৯ পিএম
ফরিদপুরে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটে লোক দেখানো নিয়োগ সম্পন্নের অভিযোগ!

Faridpur Protidin

দেশের একমাত্র নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট (নগই) ফরিদপুর জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটিতে চতুর্থ শ্রেণির ১০টি পদে লোকবল নিয়োগে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে।
লোক দেখানো নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও নদী গবেষণার মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন বঞ্চিত প্রার্থীরা। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়া শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে হয়েছে বলে নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি আজ বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছেন।
ফরিদপুর নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট (নগই) সুত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের প্রথমদিকে চতুর্থ শ্রেণির ১০টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে সরকারী নিয়োগে কোঠা সংস্কার হলে ওই বছরের ৩০ জুলাই ওইসব পদে পুনঃ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি। এতে ভান্ডার রক্ষক, অডিট সহকারী, কংক্রিট টেকনেশিয়ান, টেলিফোন অপারেটর, মেকানিক, কাঠমিস্ত্রি, ডার্করুম সহকারী, গবেষণাগার বেয়ারার, অফিস সহায়ক পদে একজন করে এবং পাম্প চালক পদে দুইজন উল্লেখ করা হয়। সকল পদে সারাদেশ থেকে ২ হাজারের অধিক প্রার্থী আবেদন করেন। নিয়োগ বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী চলতি বছরের গত ১৮ জানুয়ারি ৭০ মার্কের লিখিত ও প্রিলি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পাম্প চালক পদে ১০ জন, গবেষণাগার বেয়ারার পদে ৬ জন, ডার্করুম সহকারী পদে ৪ জন, কাঠমিস্ত্রি পদে ১ জন এবং বাকি পদে ৫ জন করে মোট ৫১ জনকে সুপারিশকৃত প্রার্থী হিসেবে ফলাফল প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর গত ২১ জানুয়ারি ফরিদপুর নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ৫১ জনকে ডাকা হয় এবং তাঁদের সকাল ১০টায় উপস্থিত থাকতে বলা হয়। মৌখিক পরীক্ষা শেষে ওইদিনই উপপরিচালক মো. আবুল এহছান মিয়া স্বাক্ষরিত চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
বঞ্চিত প্রার্থীদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সকল পদে আগেই প্রার্থী চূড়ান্ত করে একটি সিন্ডিকেট এবং গোপনে পরীক্ষার পূর্বে নিয়োগ পাওয়াদের প্রশ্নপত্রসহ উত্তর জানিয়ে দেওয়া হয়। আর এতেই লোক দেখানো নিয়োগে তাঁদেরকেই চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে বলে কয়েকজন প্রার্থী অভিযোগ। এছাড়া পূর্বেই প্রশ্নপত্রসহ উত্তর জানিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা জানান।
অফিস সহায়ক পদের প্রার্থী ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আটচর নওপাড়া এলাকার মো. ইব্রাহিম লিংকন, ফরিদপুর জেলার রহিজ আহমেদ, রাজবাড়ীর মৃত্যুঞ্জয় এবং বরিশালের অনুপ হালদার। তারা প্রত্যেকেই মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
লিখিত অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, মৌখিক পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে অফিস সহায়ক পদে সীমা মালো, পাম্প চালক পদে হামিদুর রহমান নবী, টেলিফোন অপারেটর পদে বন্যা বিশ্বাসের সাথে ওই দপ্তরের ও ব্ইারের একাধিক ব্যক্তি তাঁদের ডেকে নিয়ে গোপনে কথা বলা হয়। মৌখিক পরীক্ষায় সকাল ১০টায় উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১২ টায় সীমা মালো উপস্থিত হয়ে স্বাক্ষর করেন এবং তার সাথে অপরিচিত একাধিক ব্যক্তি বারবার যোগাযোগ করেন। এছাড়া অত্র প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কয়েকজন কর্মচারী সীমাকে বারবার বাইরে ডেকে নিয়ে আলোচনা করতে দেখা যায়, যা অন্যান্য প্রার্থীদের দৃষ্টিগোচর হয়। পরে তাকেই চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে সুপারিশ করা হয়।
জানা যায়, সীমা মালোর স্বামী সম্রাট সরকার গত ৬ বছর যাবত একই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রজেক্টে চুক্তি অনুযায়ী কাজ করে আসছিলেন। লিখিত পরীক্ষায় কম মার্ক পেলেও তাকে মৌখিক পরীক্ষা বোর্ডের সিদ্ধান্তে চূড়ান্ত করা হয় বলে নিয়োগ বোর্ডের সভাপতিও জানান (রেকর্ড সংরক্ষিত)।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, প্রতিটি মন্ত্রণালয়/অধিদপ্তর/পরিদপ্তরে যা প্রার্থীর নিয়োগ সংক্রান্ত কাজে মৌখিক পরীক্ষার প্রত্যেক প্রার্থীর সত্যায়িত ছায়ালিপি জমা রাখা হয়। কিন্ত উক্ত মৌখিক পরীক্ষায় কোনো সত্যায়িত ছায়ালিপি জমা রাখা হয়নি। কৌশলে পাম্পচালক পদের প্রার্থী হামিদুল ইসলাম নবী সত্যায়িত ছায়ালিপি ভবনে ফেলে রেখে যায়। তাকেই চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া এই প্রার্থীর সাথে এক ব্যক্তি এসে কৌশলে কাগজপত্র গ্রহণ করেন এবং ওই ব্যক্তিকে দীর্ঘ সময় সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের সাথে দেখা যায়।
এছাড়া টেলিফোন অপারেটর পদে সুপারিশকৃত প্রার্থী বন্যা বিশ্বাস মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পর থেকে সম্পন্ন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তার সাথে অপরিচিত একাধিক ব্যক্তির কথাবার্তা করতে দেখা যায়। যার প্রতিটি দৃশ্য ওই সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ দেখলে বেরিয়ে আসবে বলে প্রার্থীরা জানান।
বঞ্চিত প্রার্থী ময়মনসিংহ জেলার ইব্রাহিম লিংকন বলেন, আমি ময়মনসিংহ জেলা থেকে ফরিদপুরে ছুটে গিয়েছিলাম অনেক আশা নিয়ে। আমার মতো অনেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসে এখানে। কিন্তু এই নিয়োগ ছিল সম্পন্ন সাজানো নাটক, আমাদের ধোকা দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক কর্মকর্তা জানান, এই নিয়োগের অবৈধ লেনদেনের কলকাঠি নেড়েছেন নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি পিন্টু কানুনগোয়। যারা টাকা দিয়েছেন, তাঁদের চাকরি হয়েছে। সীমাকে উনি নিজে পরীক্ষার পূর্বে প্রশ্নপত্র ও উত্তর পাঠিয়ে দিয়েছেন।
আজ বুধবার বিকেলে নদী গবেষণার পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) ও নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি পিন্টু কানুনগোয় বলেন, সম্পন্ন মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। নিয়োগে কোনো অনিয়ম হয়নি। লিখিত পরীক্ষার একঘন্টা পূর্বে প্রশ্নপত্র ছাপা হয়েছে। যা কোনোভাবেই প্রার্থীদের দেওয়ার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, একটি পদের বিপরীতে ৫জন করে মৌখিক পরীক্ষায় ডাকা হয়। নিয়োগে যারা বাদ পড়েছেন, তারা এখন মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের (নগই) মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) এস এম আবু হোরায়রা বলেন, অভিযোগকারীরা জিআরএসের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। পরে মন্ত্রণালয় থেকে আমাকে জানানো হলে এ বিষয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। যথাযথ নিয়ম মেনে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। নিয়োগে কোনো অনিয়ম হয়নি।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) পিন্টু কানুনগোয়। তাঁর সাথে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য ছিলেন, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক পোদ্দার, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সিনিয়র সহকারি সচিব মো. মাসুম রেজা, ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. হাশমত আলী খান ও প্রতিষ্ঠানের উপপরিচালক মো. আবুল এহছান মিঞা।

সালথায় ঈদের দিনে জিকা গাছে ঝুলছিল যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ 

সালথা প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১:০২ পিএম
সালথায় ঈদের দিনে জিকা গাছে ঝুলছিল যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ 
ফরিদপুরের সালথায় ঈদুল আজহার দিনে আকাশ মোল্লা (২০) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (০৭ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের কাউলিকান্দা মোল্লার মোড় নামক একটি জিকা গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আকাশ মোল্লা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের মৃত হারুন মোল্লার ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আকাশের মা দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ ফরিদপুর সদরের তালতলা এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। গতকাল (৬ জুন) শুক্রবার  রাত ১১টার দিকে ওই বাসা থেকে অজ্ঞাত কারণে বের হয় আকাশ। পরে শনিবার ঈদের দিন সালথা’র কাউলিকান্দা মোল্লার মোড় মেইন সড়কের পশ্চিম পাশে একটি জিকা গাছের সাথে লাইলনের রশি পেঁচানো আকাশের ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, আকাশ মাদকাসক্ত হওয়ায় দীর্ঘদিন ফরিদপুর রিহ্যাব সেন্টারে থেকে চিকিৎসা নিয়ে তিন মাস পূর্বে বের হয়। গতকাল রাতে ভাড়া বাসা থেকে অজ্ঞাত কারণে বের হওয়ার পর ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মারুফ হাসান রাসেল বলেন, খবর পেয়ে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ফরিদপুরে উৎসের উদ্যোগে স্বামীহারা এক নারীর দোকান ‘সকাল টি স্টোর’ পুনর্গঠন ও হস্তান্তর

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫, ১০:১১ এএম
ফরিদপুরে উৎসের উদ্যোগে স্বামীহারা এক নারীর দোকান ‘সকাল টি স্টোর’ পুনর্গঠন ও হস্তান্তর

ফরিদপুরের একটি মানবিক উদ্যোগে আবারও প্রমাণ হলো-একটি সামান্য সহায়তাও বদলে দিতে পারে একটি মানুষের জীবন। কুরবানির পবিত্র সময়কে সামনে রেখে ধলার মোড়ে উৎস সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর পক্ষ থেকে এক স্বামীহারা নারীর জীবিকার একমাত্র উৎস ‘সকাল টি স্টোর’ নতুনভাবে নির্মাণ ও পূর্ণ মালপত্রসহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

দোকানটির টিনের চালা ছিল চৌচির আর ভেতরে ছিল না ন্যূনতম প্রয়োজনীয় মালামাল। এমন অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে জীবন চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন ওই নারী। বিষয়টি জানতে পেরে উৎস সোশ্যাল অর্গানাইজেশন তার পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

উৎস-এর স্বেচ্ছাসেবীরা দোকানটি নতুনভাবে নির্মাণ করে, ছাউনির সমস্যা মেরামত করে এবং প্রয়োজনীয় চা-নাস্তার মালামাল সরবরাহ করে পুনরায় ব্যবসা শুরু করার উপযোগী করে তোলে।
সংগঠনের এক স্বেচ্ছাসেবক বলেন,

“এই ঈদে আমরা শুধু পশু কোরবানি নয়, ত্যাগ ও ভালোবাসার কোরবানিকেই সবচেয়ে বড় করে দেখেছি। একজন মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে পারা-এটাই আমাদের ঈদের আনন্দ।”

‘সকাল টি স্টোর’ এখন শুধুই একটি দোকান নয়, বরং একজন নারীর আত্মমর্যাদায় ফিরে আসার প্রতীক হয়ে উঠেছে।

ফরিদপুরে বেহাল মহাসড়কে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি, ডাকাতির শঙ্কা

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ৬:২৪ পিএম
ফরিদপুরে বেহাল মহাসড়কে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি, ডাকাতির শঙ্কা

 

 

ভাঙ্গা উপজেলা থেকে ফরিদপুর জেলা সদর পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় এবারের ঈদ যাত্রায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ঘর মুখো মানুষকে।

একদিকে খানাখন্দে ভরপুর সড়ক দিয়ে চলাচলে প্রায়শ ভেঙ্গে যাচ্ছে যানবাহনের যন্ত্রপাতি, অন্যদিকে ওই সড়ক অতিক্রমে ভোগান্তির পাশাপাশি ধীর গতির কারণে যথাসময়ে গন্তব্যে পৌছাতে না পারাসহ রাতে ছিনতাই ও ডাকাতির শংকা রয়েছে ঘরমুখো যাত্রীদের মাঝে। যদিও ফরিদপুরের পুলিশ সুপার বলছেন, ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওই অংশে রাতের বেলায় পুলিশ টহল বাড়ানো হয়েছে। তাই শংকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

বরিশাল-ফরিদপুর মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলা এক্সপ্রেসওয়ের শেষ প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের দুরত্ব ৩০ কিলোমিটার, যা দীর্ঘদিন প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে খানাখন্দে ভরে গেছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বেড়েছে খানা-খন্দের পরিমান।

এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই সড়ক ব্যবহার করে যাতায়াত করা ফরিদপুরসহ অন্তত ১০ জেলার মানুষ। ফরিদপুরের সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাদের এই সড়কটির ব্যাপারে উদাসীনতাকে দায়ি করছে এই সড়কে যাতায়াতকারীরা।

ওই সড়ক ব্যবহারকারী যানবাহন চালক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খানাখন্দের কারণে প্রায়শ গাড়ীর যন্তপাতি ভেঙ্গে যাচ্ছে। এছাড়া ধীর গতিতে যানবাহন চালাতে হচ্ছে, ফলে নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পেছানো যাচ্ছেনা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।

এই সড়ক দিয়ে ঢাকাগামী মাইক্রোচালক আবুল হোসেন বলেন, এয়ারপোর্টে যাচ্ছি যাচ্ছি আনতে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত সড়কের যে অবস্থা তাতে গাড়ির গতিসিমা সর্বোচ্চ ১৫ বেশি চালানো যায় না। মহাসড়কের গতি যদি এরকম হয় সে ক্ষেত্রে ডাকাতি সহ নানা পদের ঝামেলার আশঙ্কা থাকে।

এদিকে গাড়ী নষ্ট হওয়া ও ধীর গতির কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন ঘরমুখো মানুষেরাও। এছাড়া রাতে ধীর গতির কারণে ছিনতাই বা ডাকাতির মতো ঘটনার শংকাও রয়েছে তাদের মধ্যে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবী তাদের।

যদিও ছিনতাই ও ডাকাতির বিষয়টি মাথায় রেখে ওই অংশে পুলিশ টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল।

তিনি জানান, ৩০ কিলোমিটার মহাসড়ককে চারটি ভাগে ভাগ করে পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হযেছে। কোনো ধরনের সমস্যা বা সন্দেহ হলে দ্রুত পুলিশকে জানানোর আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। এদিকে জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুর রহমান জানিয়েছে, আপাতত চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক করতে সড়কটির সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে।