খুঁজুন
শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫, ১৩ আষাঢ়, ১৪৩২

ফরিদপুরে স্কুল ছাত্রের উপর নির্যাতনের বিচার চেয়ে মানববন্ধন

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ৪:২২ পিএম
ফরিদপুরে স্কুল ছাত্রের উপর নির্যাতনের বিচার চেয়ে মানববন্ধন
ফরিদপুরে স্কুলে যাওয়ার পথে পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে ও নদীতে চুবিয়ে নির্যাতনের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।
সোমবার (১২ মে) দুপুরে সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চিলারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে চিলারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মোহসিন খান জানায়, গত ৮ মে স্কুলে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে প্রথমে ধরে মারপিট করে পাশের নদীতে চুবায়। সেখান থেকে স্কুলে যাওয়ার পরে আবার তাকে জোর করে স্কুল থেকে ধরে নিয়ে মুখে গামছা বেধে টানা হেচড়া করে এলোপাথাড়ীভাবে চড়থাপ্পড় কিলঘুষি মারে ও লাঠি দিয়ে পেটায়।
এসময় হামলাকারীরা তাদের বিরুদ্ধে তার   বাবার দায়েরকৃত মামলা তুলে নিতে বলে মামলা তুলে না নিলে তাকে খুন করার হুমকি দেয়া হয় বলে মোহসিন অভিযোগ করেন।
মোহসিনের বাবা দেলোয়ার খান (৩৬) জানান, স্থানীয় এক যুবকের পরকিয়া সম্পর্কে বাধা দেওয়ায় গত বছরের ১২ জুন ইউপি মেম্বার মনিরুজ্জামান আবেদের নেতৃত্বে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন চালায়। হামলাকারীরা চোর আখ্যা দিয়ে দেলোয়ার খানের কোমর থেকে পা পর্যন্ত পিটিয়ে থেতলে দেয়। তিনমাস ঢাকা ও ফরিদপুরের ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসা নিয়ে তিনি কিছুটা সুস্থ হন।
মোহসিনের মা মিরা আক্তার (৩০) বলেন, তার স্বামীর উপর হামলার ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে কোতোয়ালি থানায় ৯ জনের নামোল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে। ওই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তার ছেলের উপরে এই নির্যাতন চালানো হয়।
এ ঘটনায় চিলারকান্দি গ্রামের রবিন শেখ (২০), শাহিন মল্লিক (২৫), উজ্জল শেখ (২৫), হাসিব মল্লিক (৪৯), হানিফ শেখের (৪৫)  বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। কোতোয়ালি থানার এএসআই রেজাউলের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করেছে।
মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়, থানায় অভিযোগ দিলেও এখনো পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি থানায়। অভিযুক্তরা এখনো প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে এবং থানা পুলিশ করলে আবারো মারপিট করবে বলে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে এএসআই রেজাউল বলেন, ঘটনার তদন্তে ওই শিশুকে মারধরের সত্যতা পাওয়া গেছে। এব্যাপারে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

“মানসিক, শারীরিক এবং অর্থনৈতিকভাবে মাদক আমাদেরকে ধ্বংস করছে”

মফিজুর রহমান শিপন, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫, ৪:২৪ পিএম
“মানসিক, শারীরিক এবং অর্থনৈতিকভাবে মাদক আমাদেরকে ধ্বংস করছে”

ফরিদপুরে মাদকদ্রব্য অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবসে বক্তারা বলেন, মানসিক, শারীরিক এবং অর্থনৈতিকভাবে মাদক আমাদেরকে ধ্বংস করছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ফরিদপুরে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সকাল ‌সাড়ে দশটার দিকে ফরিদপুর ‌ জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এ উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের করা হয়।

ফরিদপুরের ‌ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিন্টু বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ‌ বক্তব্য রাখেন, ‌মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ফরিদপুরের উপ-পরিচালক মো. হাশেম আলী, জেলা শিক্ষা অফিসার বিষ্ণুপদ ঘোষাল, রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হালিম, ফরিদপুর টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার ( টিটিসির) অধ্যক্ষ মো. আখতারুজ্জামান।

এ সময় ‌ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ‌ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।

আলোচনা সভায় বক্তারা ‌ বলেন, আমাদের সন্তানদেরকে মাদক থেকে দূরে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। কেননা মাদক একটি পরিবার, সমাজ ও দেশকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়। এক্ষেত্রে যে যার যার জায়গা থেকে মাদকের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, আগামী বাংলাদেশ হবে একটি মাদক মুক্ত বাংলাদেশ। মানুষের মানসিক, শারীরিক এবং অর্থনৈতিকভাবে মাদক আমাদেরকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। মাদক গ্রহণকারীরা অনেক সময় অসামাজিক কার্যকলাপ ও আইনশৃঙ্খলা বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হয়ে যাচ্ছে।

মাদকদ্রব্যের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের দূরারোগ্য ব্যাধি সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে। সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে মাদককে নির্মূল করতে হলে আমাদের সকলকে সচেতন থেকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

ফরিদপুরে দেশি মুরগি পালনে উন্নত আবাসন ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা নিয়ে খামার দিবস

তামিম ইসলাম, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫, ৩:৩৫ পিএম
ফরিদপুরে দেশি মুরগি পালনে উন্নত আবাসন ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা নিয়ে খামার দিবস

ফরিদপুরের বাইতুল আমান এলাকার আক্কেল মোল্লার ডাঙ্গীতে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ‘বিশেষ আবাসন নিশ্চিত করে আধা-বাণিজ্যিকভাবে দেশি মুরগি পালন’ শীর্ষক এক খামার দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর অর্থায়নে ও সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি (এসডিসি)-এর বাস্তবায়নে এই আয়োজনে দেশি মুরগি পালনের মাধ্যমে গ্রামীণ খামারিদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, উন্নত আবাসন ব্যবস্থাপনা এবং রোগবালাই প্রতিরোধের কৌশল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ফরিদপুরের জেলা ভেটেরিনারি অফিসার ডা. মনমথ কুমার সাহা।

তিনি বলেন, “দেশি মুরগির উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য উন্নত আবাসন ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চা ফুটানোর পর থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত সঠিক খাদ্য, পরিচর্যা এবং পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে খামারিরা অধিক লাভবান হতে পারবেন।”

বিশেষ অতিথি এসডিসির প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রবিউল ইসলাম সজীব দেশি মুরগি পালনে রোগবালাই প্রতিরোধের কৌশল তুলে ধরেন। তিনি জানান, “নিয়মিত টিকা প্রদান, সঠিক পরিচর্যা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন আবাসন ব্যবস্থা উৎপাদন খরচ কমাতে এবং ফলন বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।”

অনুষ্ঠানে স্থানীয় খামারিরা তাদের সম্মুখীন হওয়া চ্যালেঞ্জ, যেমন আবাসন জনিত সমস্যা ও বাজার সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতার কথা তুলে ধরেন। তারা দেশি মুরগির উৎপাদন ও বাজার সম্প্রসারণে সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা কামনা করেন।

এসডিসির এক কর্মকর্তা জানান, গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে দেশি মুরগি পালন একটি সম্ভাবনাময় খাত। এ লক্ষ্যে তারা খামারিদের প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং বাজার সংযোগ স্থাপনে কাজ করে যাচ্ছেন।

অনুষ্ঠানে শতাধিক স্থানীয় খামারি অংশগ্রহণ করেন। আলোচনা শেষে খামারিদের মাঝে দেশি মুরগি পালন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এই খামার দিবসটি খামারিদের জন্য তথ্যবহুল ও ব্যবহারিক দিকনির্দেশনামূলক একটি আয়োজন ছিল, যা তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও ব্যবসায়িক দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ফরিদপুরের মধুমতি নদীতে এক মৎস্যজীবীর বৈঠার আঘাতে নিখোঁজ অপর মৎস্যজীবী 

তৈয়বুর রহমান কিশোর, বোয়ালমারী:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫, ৩:২৬ পিএম
ফরিদপুরের মধুমতি নদীতে এক মৎস্যজীবীর বৈঠার আঘাতে নিখোঁজ অপর মৎস্যজীবী 

ফরিদপুরের মধুমতি নদীতে মাছ ধরার সময় শৌখিন খান (৩৮) নামে এক মৎস্যজীবী প্রতিপক্ষ মৎস্যজীবী জব্বার মোল্যার (৩৭) হাতে থাকা বৈঠার আঘাতে নিখোঁজ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুর ২টা পর্যন্ত নদীতে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল অভিযান চালিয়েও নিখোঁজ মৎস্যজীবী শৌখিনের সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে ঘটনাস্থল এলাকায় গিয়ে জানা গেছে।

এর আগে বুধবার (২৫ জুন) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলা এবং মাগুরা জেলার মহম্মদপুর সীমান্তে মধুমতি নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজ মৎস্যজীবী শোখিন খান মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার দীঘা ইউনিয়নের পাল্লা চরপাড়া গ্রামের ছাত্তার খানের ছেলে। সকাল থেকেই নিখোঁজের স্বজনরা ও এলাকাবাসী মধুমতি নদীর বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের মাঝিপাড়া ঘাটে আহাজারি করতে দেখা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী, এলাকাবাসী ও নিখোঁজ মৎস্যজীবীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার দীঘা ইউনিয়নের পাল্লা চরপাড়া গ্রামের ছাত্তার খানের ছেলে মৎস্যজীবী শোখিন খান ও ফরিদপুর জেলার নওপাড়া গ্রামের আহমদ শেখের ছেলে হুমায়ূন শেখ নৌকায় চায়না জাল নিয়ে বুধবার রাত ১০টার দিকে মাছ ধরতে বের হয়। একই সময়ে পাশেই মাছ ধরতেছিল ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার নওপাড়া গ্রামের ছলেমান মোল্লার ছেলে জব্বার মোল্লা (৩৮), রবিউল মোল্লা (৩০) ও একই গ্রামের নৌকা চালক ছলেমানের ছেলে সানি শেখ।
ওইদিন রাত পৌনে ৩টার দিকে বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলার সীমান্তবর্তী চন্ডিবিলা মাঝিপাড়া ঘাট এলাকা দিয়ে মৎস্যজীবী শোখিন খান ও হুমায়ূন শেখ নৌকা নিয়ে ফিরছিলেন। এ সময় অপর মৎস্যজীবী জব্বার মোল্লা (৩৮) ও রবিউল মোল্লা (৩০) শৌখিনদের বলে, আমাদের জালের উপর আসলি কেন? ঘটনার সময় দুই মৎস্যজীবী পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জব্বার মোল্লা শৌখিনের মাথায় বৈঠা দিয়ে আঘাত করলে নদীর পানিতে ডুবে যায়।

খবর পেয়ে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়েও নিখোঁজ মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করতে পারেনি। সকাল থেকেই নিখোঁজের স্বজনরা ও এলাকাবাসী মধুমতি নদীর বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের মাঝিপাড়া ঘাটে আহাজারি করতে দেখা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও সৌখিনের সাথে থাকা অপর মৎস্যজীবী হুমায়ুন শেখ জানান, রবিউল ও জব্বারের পেতে রাখা কারেন্ট জালের উপর দিয়ে নৌকা চালানো হয়েছে দাবী করে জব্বার সৌখিনের মাথায় আঘাত করলে সে নদীর মধ্যে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিক তাকে পাওয়া না গেলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত তার কোন সন্ধান মেলেনি।

উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি গনি আমিন জানান, আমরা ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারি রাতে মাছ মারার সময় এক মৎস্যজীবী অপর মৎস্যজীবীকে আঘাত করলে একজন পানিতে পড়ে নিখোঁজ হন। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে নিখোঁজের সন্ধান পাওয়া যায়নি। অক্সিজেন শেষ হয়ে যাওয়ায় মাঝখানে অভিযান স্থগিত করা হয়। পরে পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছে। এখনো ওই ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছে।