খুঁজুন
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২ পৌষ, ১৪৩২

বিপ্লব-পরবর্তী শিক্ষাঙ্গন, শিক্ষকের পদত্যাগ ও সমস্যা থেকে উত্তরণ

মো. হাফিজুর রহমান শিকদার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:০২ এএম
বিপ্লব-পরবর্তী শিক্ষাঙ্গন, শিক্ষকের পদত্যাগ ও সমস্যা থেকে উত্তরণ

পৃথিবীতে কিছু ব্যর্থতার মূল্য হয় অনেক চড়া। বিগত সরকারের দেড়যুগ ধরে ব্যর্থ শাসনের মূল্য বেশ চড়া দামে দিতে হচ্ছে দেশকে। প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে রাজনীতিকীকরণ করে প্রশাসনিক কাঠামো একেবারে ভেঙে দিয়েছে। যার ফল মারাত্মকভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে শিক্ষাঙ্গনে।

বিগত সরকারের পতনের পর দেশের আনাচ-কানাচ থেকে নানা অপ্রীতিকর সংবাদ আসছে। কোথাও স্কুলের প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগ করানো হচ্ছে, কোথাও শিক্ষকের বাড়িঘর ভেঙে ফেলা হচ্ছে কিংবা কোথাও প্রতিবাদী জনতার ভয়ে শিক্ষক পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এতে যেমন অপরাধী শিক্ষকের নাম আসছে তেমনি নিরপরাধ কিংবা নিরপেক্ষ শিক্ষকও পদলোভী অন্য শিক্ষকের ইন্ধনে আক্রান্ত হচ্ছেন। এটা রাষ্ট্রের জন্য মোটেও সুখকর কোনো সংবাদ নয়। স্বাধীনতার দুই দশক পর অর্থাৎ ১৯৯০-৯১ সালের দিকে শিক্ষার প্রতি যে অবহেলার সূচনা হয়েছিল বিগত সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে তার পূর্ণতা ছাপিয়ে দেশকে এক শিক্ষাহীন রাষ্ট্রে পরিণত করার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল একটি মহল।

উল্লেখ্য, বিগত প্রায় সব গণতান্ত্রিক সরকারই শিক্ষক সমাজকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কমবেশি ব্যবহার করেছে। দলীয় শিক্ষককে দিয়েছে পদোন্নতি আর প্রত্যাশিত পদায়ন। কোনো নির্দিষ্ট দলের হয়ে কাজ না করলে প্রমোশন, পদায়নসহ অন্যান্য বৈধ সুবিধা থেকেও স্থানভেদে বঞ্চিত হতে হতো। ফলে শিক্ষকের সামাজিক মর্যাদা হলো ক্রমক্ষয়িষ্ণু, ছিল না কোনো অর্থনৈতিক নিরাপত্তা কিংবা দায়িত্ব পালনে নিরাপত্তা। এক ধরনের শঙ্কার মধ্যে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিতে হতো। অসাদুপায় অবলম্বনের দায়ে কোনো শিক্ষার্থীকে শাস্তি দিলে কিংবা পরীক্ষার উত্তরপত্রে নম্বর কম দিলে শিক্ষক এক ধরনের অপমান-অপদস্তের ভয়ে থাকতেন। এসব ক্ষেত্রে শিক্ষকের প্রতি সরকারের আচরণ ছিল এক ধরনের বিমাতাসুলভ। যে কারণে পড়ালেখা শেষ করে চাকরিপ্রার্থীরা এই অনিরাপদ পেশায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে দিন দিন। মেধাবীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে আর ক্ষমতার পেছনে ছুটছে। শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের অন্যতম প্রধান ভিকটিম শিক্ষকরা।

সম্রাট আওরঙ্গজেব একদিন দেখেন তার ছেলে শিক্ষকের পায়ে পানি ঢালছে। এসব দেখেই শিক্ষকের কাছে অনুযোগ করলেন, ছেলে কেন হাত দিয়ে পা ধুইয়ে দিল না অর্থাৎ শিক্ষকের অসম্মান হয়েছে। গত বছর এক শিক্ষক ছাত্রের চুল বড় থাকায় বেত্রাঘাত করায় শিক্ষককে জেলে যেতে হয়েছিল। সম্প্রতি বহু স্কুলের প্রধান শিক্ষক কিংবা কলেজের অধ্যক্ষকে জোর করে পদত্যাগ করিয়েছে ক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। কোথাও পদলোভী তাদেরই সহকর্মীদের ইন্ধনে কিছু শিক্ষার্থী এ কাজটি সমাধা করেছে।

দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচারের পতন হয় ৫ আগস্ট। এর পর পরই বৈষম্য নিরসনে ছাত্র-জনতা দেশের শিক্ষাঙ্গনে হাত দেন। বিগত সরকারের সঙ্গে কোনোরূপ সম্পর্ক ছিল কিংবা আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছে প্রকাশ্যে এমন শিক্ষকদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সরিয়ে দিতে ছাত্র-জনতা অনেকটা জোরাজুরি করেছেন। বেশকিছু প্রতিষ্ঠানে দেখা গেছে একপ্রকার অপমান করে শিক্ষক, প্রধানশিক্ষক এবং অধ্যক্ষদের পদত্যাগ করিয়েছে। ফলে দেশের শিক্ষাঙ্গনে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে।

গত ৪ সেপ্টেম্বর পদত্যাগের ক্রমাগত চাপে ‘হৃদরোগে আক্রান্ত’ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন কিশোরগঞ্জ শহরের আতরজান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক। কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের অধ্যক্ষকে টেনেহিঁচড়ে চেয়ার থেকে সরিয়ে দেওয়ার কিংবা বিভিন্ন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষকে জোর করে পদত্যাগ করানোর ভিডিও সারা দেশবাসী দেখেছে, হয়েছে মর্মাহত।

এখন স্বাভাবিক প্রশ্ন আসতে পারে, শিক্ষকদের বেলায় শিক্ষার্থীরা এত মারমুখী হচ্ছে কেন। এর অন্যতম কারণ হলো- শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের খুব কাছ থেকে দেখে। তারা দেখে কিছু শিক্ষক কিভাবে কোনো দলের হয়ে দলীয় কর্মীর মতো আচরণ করেন। অনেক ক্ষেত্রে সরকারি চাপে রাজনৈতিক দলের হয়ে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্টতা এই শিক্ষকদের নিশ্চিত করতে হয়। মন্ত্রণালয় থেকে অফিসিয়াল নির্দেশনা দেওয়া হলেও শিক্ষার্থীরা তাদের ক্ষোভ ঝাড়ে তাদের সন্নিকটে থাকা শিক্ষকদের উপর। এর মধ্যে কিছু শিক্ষক ব্যক্তিগত স্বার্থে দলীয় পরিচয়ে নানা সুবিধা নিতে অতিউৎসাহী হয়ে ভিন্ন মতের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হেয়প্রতিপন্ন করেছে, করেছে নানা হয়রানি। কিছু শিক্ষকের আচরণ ছিল দলীয় কর্মীদের মতো যেগুলো একেবারেই অনুচিত এবং বাংলাদেশ সার্ভিস রুলের (বিএসআর) বিরোধী। যে কারণে সারা দেশে একই চিত্র দেখা যাচ্ছে।

গত ৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি কোনো শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগে বাধ্য না করার আহ্বান জানিয়েছেন। এটি বেশ ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। বিগত সরকারকে টিকিয়ে রাখতে যারা ফ্রন্টলাইনে থেকে গণতন্ত্র ও জনবিরোধী কাজগুলোকে সমর্থন দিয়েছে তাদের কারও মধ্যে শিক্ষক সমাজ নেই। অথচ শিক্ষকরাই বেশি জনরোষের শিকার হচ্ছেন। এটা নিয়ে সরকারকে ভাবতে হবে।

দেশের শিক্ষার এহেন করুণ অবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্য কিছু বিষয়ে সংশোধন আনা জরুরি। শিক্ষক একটি জাতির দর্পণ। প্রথমত, একাডেমিক পারপাসে তিনি সংশ্লিষ্ট যে কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। তা যদি বিদ্যমান সরকারের কোনো নীতি কিংবা সিস্টেমের বিরুদ্ধে হয় তবুও। কিন্তু এর ফলে এই শিক্ষককে কোনো শাস্তির সম্মুখীন করা যাবে না। শিক্ষার্থীকে কোনো বিষয়ে সঠিক শিক্ষা দিতে হলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা করতে হবে। ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক, কোনো তথ্য-উপাত্ত কিংবা তথ্য সঠিকভাবে উপস্থাপনে বাধাগ্রস্ত হলে কিংবা ভয়ের সঙ্গে পাঠদান করলে শিক্ষার্থী সঠিক কিছু শিখবে না, অন্ধকার কেটে আলো আসবে না। ফলে শিক্ষার সঠিক উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে।

দ্বিতীয়ত, কোনটি সরকারের সমালোচনা, কোনটি গৃহীত সিদ্ধান্তের গঠনমূলক সমালোচনা আর কোনটি দেশদ্রোহিতা এ বিষয়গুলো পরিষ্কার করা জরুরি। সাবেক স্বৈরশাসক এসব টুলস ব্যবহার করে শিক্ষার্থীকে প্রকৃত শিক্ষার্জন, জ্ঞানলাভ থেকে যেমনি বঞ্চিত করেছিল, তেমনি শিক্ষককে সঠিক কথা বলা থেকেও বিরত রাখতে সফল হয়েছিল। সৃষ্টি করেছিল এক ভয়ের সংস্কৃতি।

তৃতীয়ত, দলীয় রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বন্ধকরণ। দেশে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুটি ধারা। একটি রাজস্বভুক্ত এবং অন্যটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়। স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের জন্য রাজনীতি করার সুযোগ থাকলেও রাজস্বভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’-এর বিধি-২৫ এর উপবিধি-১ অনুসারে সরকারি কর্মচারী রাজনীতি এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। যেমন বলা আছে- “কোনো সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের বা রাজনৈতিক দলের কোনো অঙ্গ সংগঠনের সদস্য হইতে অথবা অন্য কোনোভাবে উহার সহিত যুক্ত হইতে পারিবেন না, অথবা বাংলাদেশ বা বিদেশে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে বা কোনো প্রকারেই সহায়তা করতে পারবেন না।”

বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পদত্যাগে বাধ্য করার পেছনে এই একটি দ্বি-মুখী নীতি অন্যতম। শিক্ষার্থীরা দেখছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক রাষ্ট্রের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলছে, ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করেছে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে কিন্তু সরকারি স্কুল, কলেজ কিংবা মাদ্রাসার শিক্ষকরা তাদের পাশে দাঁড়ায়নি। যে কারণে একটি ক্ষোভ কাজ করেছে। এর সমাধান হতে পারে, শিক্ষকদের দেশের নানা ইস্যুতে কথা বলার স্বাধীনতা দিতে হবে। শিক্ষক কোনো দলের হতে পারে না। একজন শিক্ষক দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে জ্ঞানদান করেন। তিনি যদি কথাই বলতে না পারেন তবে জ্ঞানদান একপেশে হবে যার ফলে প্রকৃত জ্ঞানলাভে ব্যর্থ হবে শিক্ষার্থীরা। রাষ্ট্র পিছিয়ে পড়বে।

কিছু শিক্ষক দলীয় কর্মীর মতো আচরণ করেছে এবং ভিন্নমতের শিক্ষকদের অপমান-অপদস্ত এবং ন্যায্য প্রাপ্যতা থেকে বঞ্চিত করেছে। ফলে বঞ্চিত সহকর্মী এবং প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। কিন্তু এসব ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সরকার এবং শিক্ষক সমাজের আরও সচেতন হওয়া দরকার। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য শিক্ষার দায়িত্ব শিক্ষকদের হাতেই থাকা উচিত।

ভবিষ্যতে কোনো দলীয় সরকার যেন জাতির বিবেক এই শিক্ষক সমাজকে নিজ স্বার্থে ব্যবহার করতে না পারে সেদিকে বর্তমান সরকারের নজর দেওয়া দরকার। সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যেসব সংস্কার কমিশন গঠন করেছে সেখানে শিক্ষা সংস্কার কমিশন স্থান পায়নি, অথচ এটি সর্বপ্রথমে দরকার ছিল। শিক্ষার প্রশাসনিক এবং সাংবিধানিক সংস্কার করে বিষয়টির একটি স্থায়ীরূপ দিতে না পারলে ২০২৪-েএর ছাত্র-জনতার বিপ্লব, হাজারো শহীদের রক্ত বৃথা যাবে।

মো. হাফিজুর রহমান শিকদার প্রভাষক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজ

সালথায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে কৃষকলীগ নেতা আটক

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:০৯ পিএম
সালথায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে কৃষকলীগ নেতা আটক

ফরিদপুরের সালথায় ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামীকে ধরতে গিয়ে খোরশেদ খান (৪৫) নামে এক কৃষক লীগ নেতার হামলার শিকার হয়েছেন পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক মুকুল। এ ঘটনায় ওই হামলাকারী কৃষকলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের আগুলদিয়া মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

খোরশেদ খান গট্টি ইউনিয়নের কৃষকলীগের সহ-সভাপতি ও ওই গ্রামের উচমান খানের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের আগুলদিয়া মোড় এলাকায় এক ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীকে ধরতে যায় একদল পুলিশ। এ সময় ওই আসামীকে ধরতে বাধা দেন কৃষক লীগ নেতা খোরশেদ খান। এক পর্যায়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মুকুল আহত হন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলু রহমান খান বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামীকে ধরতে গেলে খোরশেদ খান বাধা প্রদান করেন এবং পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মুকুল আহত হন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মহান বিজয় দিবসে চরভদ্রাসনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, চরভদ্রাসন:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:৩৩ পিএম
মহান বিজয় দিবসে চরভদ্রাসনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

মহান বিজয় দিবসে ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে চরভদ্রাসন সরকারী কলেজ মাঠে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জালাল উদ্দিন।

সভার শুরুতে উপজেলার প্রায়াত মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

পরে ইউএনও জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) যায়েদ হোছাইন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ ও মো. ফখরুজ্জামান প্রমুখ।

মধুখালীতে গড়াই সেতুর নবনির্মিত ডিজিটাল টোল ঘরের উদ্বোধন

মো. ইনামুল খন্দকার, মধুখালী:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:১৩ পিএম
মধুখালীতে গড়াই সেতুর নবনির্মিত ডিজিটাল টোল ঘরের উদ্বোধন

ফরিদপুরের মধুখালীর কামারখালীতে গড়াই সেতুর নবনির্মিত টোল ঘরের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নবনির্মিত ডিজিটাল এ টোল ঘর উদ্বোধন করেন সড়ক ও জনপথের (সওজ) গোপালগঞ্জ অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. সাদিকুল ইসলাম।

এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- টোলের ইজাদার প্রতিষ্ঠান ও লোকমান হোসেন খান টেডার্সের স্বত্বাধিকার এবং পান্না গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলহাজ্ব লোকমান হোসেন খান।

অন্যান্যর মধ্যে এাময় উপস্থিত ছিলেন- পান্না গ্রুপের পরিচালক আরিয়ান খান, মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফকির তাইজুর রহমান, পান্না গ্রুপের জিএম (প্রশাসন) শেখ মো. আবুল কালাম, মধুখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ সতেজ, টোলের ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমান সহ সাংবাদিক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এসময় সড়ক ও জনপথের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সাদেকুল ইসলাম বলেন, টোল ঘরের কারণে অতিরিক্ত যানজট যেন সৃষ্টি না হয়, এতে জনগণের দুর্ভোগ হয়। সেদিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখার জন্য ইজারাদার প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করেন।

একই সময় মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফকির তাইজুর রহমান বলেন, টোল ঘর এলাকার যেকোনো প্রকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।