খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮ পৌষ, ১৪৩২

কুয়াশা ও শীতে বিপর্যস্ত ফরিদপুর, দুর্ভোগে নিম্নআয়ের মানুষ

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:১৮ এএম
কুয়াশা ও শীতে বিপর্যস্ত ফরিদপুর, দুর্ভোগে নিম্নআয়ের মানুষ

ফরিদপুরে শীতের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। ঘন কুয়াশা, হাড় কাঁপানো ঠান্ডা আর ঠান্ডা বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ, দিনমজুর, ছিন্নমূল ও চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। শীতজনিত রোগেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।

ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত ফরিদপুর শহর ও গ্রামাঞ্চলে কুয়াশার দাপট দেখা যাচ্ছে। সকালে সড়কে যান চলাচল কমে যায়, কাজে বের হতে দেরি করছেন দিনমজুররা। ফরিদপুর বাসস্ট্যান্ড ও রেলস্টেশন এলাকায় দেখা যায়, খোলা জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন ভাসমান মানুষজন। অনেকের গায়ে নেই পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র।

সদর উপজেলার ছুরাপ আলী নামের এক দিনমজুর ‘ফরিদপুর প্রতিদিন‘কে বলেন, “শীতে কাজ কমে গেছে। ঠান্ডায় শরীর চলে না, তবু না নামলে সংসার চলবে না।” একই অবস্থা চরাঞ্চলের মানুষেরও। কাঁচা ঘর, পলিথিন আর খড়ের বেড়ায় শীত ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরিবারগুলো।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। হাসপাতাল সূত্র জানায়, নিউমোনিয়া, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট ও জ্বর নিয়ে প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এ বিষয়ে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহমুদুল হাসান ‘ফরিদপুর প্রতিদিন‘কে বলেন, “শীতকালে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। নিউমোনিয়া, ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টের রোগী বাড়ছে। তাইতো সবাইকে গরম কাপড় ব্যবহার, ঠান্ডা এড়িয়ে চলা এবং প্রয়োজনে দ্রুত হাসপাতালে আসার পরামর্শ দিচ্ছি।”

শীত মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন।

এব্যাপারে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্যা ‘ফরিদপুর প্রতিদিন‘কে বলেন, ‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে ফরিদপুরের জন্য শীতবস্ত্র পাঠানো হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যেই হয়তো সেগুলো আমরা হাতে পেয়ে যাব। এরপর থেকেই শীতবস্ত্র বিতরণের কাজ শুরু করবো।

‘প্রকৃত অসহায়, হতদরিদ্র ও দুস্থদের তালিকা করে এ শীতবস্ত্র সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানান এ জেলা প্রশাসক।”

তবে স্থানীয়দের দাবি, ‘শীত যত বাড়ছে, ততই প্রয়োজন বাড়ছে সহায়তার। তাই ফরিদপুরের এই শীতে শুধু আবহাওয়ার খবর নয়—এটি মানুষের জীবনযুদ্ধের খবর। কর্তৃপক্ষের উদ্যোগের পাশাপাশি সমাজের সামর্থ্যবানদের আরও এগিয়ে আসার মধ্য দিয়েই শীতের এই দুর্ভোগ কিছুটা হলেও লাঘব হতে পারে।’

৪০ বছরের পর প্রত্যেক পুরুষের যেসব স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি

স্বাস্থ্য ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১২:১৪ পিএম
৪০ বছরের পর প্রত্যেক পুরুষের যেসব স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি

বয়স ৪০ পেরোলেই পুরুষদের শরীরে নীরবে নানা জটিলতা বাসা বাঁধতে শুরু করে। কর্মব্যস্ত জীবন, দীর্ঘ সময় বসে কাজ করা, মানসিক চাপ, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়ামের অভাব—সব মিলিয়ে পুরুষদের স্বাস্থ্যঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। শুধু ব্যক্তিগত নয়, এর প্রভাব পড়ছে পরিবার ও সামাজিক জীবনেও। তাই এ বয়সের পর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সচেতনতা এখন সময়ের দাবি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অসংক্রামক রোগ (এনসিডি), হৃদ্‌রোগ, ক্যানসার ও প্রজননজনিত সমস্যার ঝুঁকি ৪০-এর পর উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। তবে আগেভাগে সঠিক পরীক্ষা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিলে এসব ঝুঁকি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

অসংক্রামক রোগ

পুরুষদের মধ্যে রক্তে চর্বি (লিপিড) ও রক্তে শর্করার মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, টাইপ-২ ডায়াবেটিসের সঙ্গে পেটের ভেতরের অতিরিক্ত চর্বি (ভিসেরাল ফ্যাট) জমার সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। এর ফলে প্রতি ছয়জন পুরুষের একজনের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে যাচ্ছে, যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়াচ্ছে।

রেডক্লিফ ল্যাবসের ২ লাখের বেশি নমুনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, যাদের লিপিড প্রোফাইল অস্বাভাবিক, তাদের মধ্যে ৬৩ শতাংশই পুরুষ। একইভাবে লিপিড ও রক্তে শর্করা—দুটোই অস্বাভাবিক এমন ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ পুরুষ। এ তথ্য পুরুষদের জন্য বাড়তি সতর্কতার বার্তা দিচ্ছে।

হৃদ্‌রোগ

উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও বসে বসে জীবনযাপন—এই চারটি কারণ একসঙ্গে পুরুষদের করোনারি হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, নিয়মিত হাঁটা বা ব্যায়াম, ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রক্তচাপ ও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।

ক্যানসার

বিশ্বজুড়ে পুরুষদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ ক্যানসার। ভারতের প্রেক্ষাপটে ফুসফুস ও প্রোস্টেট ক্যানসার পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যাচ্ছে। ধূমপান পরিহার, নিয়মিত প্রোস্টেট পরীক্ষা, প্রয়োজন অনুযায়ী ফুল বডি স্ক্রিনিং এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

প্রজনন ও যৌন স্বাস্থ্য

প্রজনন সমস্যায় শুধু নারীরাই নয়, পুরুষরাও সমানভাবে ভুগছেন। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, হরমোনের পরিবর্তন, অতিরিক্ত মদ্যপান ও ধূমপান এবং টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যাওয়াই এর প্রধান কারণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ধূমপান ও অ্যালকোহল বর্জন এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস প্রজননস্বাস্থ্য রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ইরেকটাইল ডিসফাংশন (যৌন দুর্বলতা), যা একসময় বয়সজনিত সমস্যা হিসেবে ধরা হতো, এখন তুলনামূলক কম বয়সী পুরুষদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে। এটি প্রজননস্বাস্থ্য বিষয়ে বাড়তি মনোযোগের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরছে।

কেন জরুরি প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য পরীক্ষা

স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিকল্প নেই। ডায়াবেটিস, লিপিড প্রোফাইল, প্রোস্টেট পরীক্ষা, হৃদ্‌যন্ত্রের বিভিন্ন পরীক্ষা—এসব নিয়মিত করালে রোগ আগেভাগে শনাক্ত করা সম্ভব হয়। ফলে সময়মতো চিকিৎসা শুরু করে জটিলতা এড়ানো যায়।

বিশ্ব পুরুষ দিবস উপলক্ষে রেডক্লিফ ল্যাবসের মেডিকেল ল্যাবরেটরি ডিরেক্টর ডা. সোহিনী সেনগুপ্ত বলেন, ‘শুধু অসুস্থ হলে চিকিৎসা নয়, বরং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে সামগ্রিক সুস্থতাকে গুরুত্ব দিতে হবে। পুরুষদের স্বাস্থ্য নিয়ে সামাজিক সংকোচ ভেঙে খোলামেলা আলোচনা প্রয়োজন। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে এমন অনেক পরীক্ষা রয়েছে, যা ঝুঁকি আগেভাগেই শনাক্ত করতে পারে। সময়মতো পদক্ষেপই সুস্থ জীবনের মূল চাবিকাঠি।’

সুস্থ জীবনের পথে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান

ভারতসহ উপমহাদেশে অসংক্রামক রোগের প্রকোপ বয়স নির্বিশেষে বাড়ছে। সুস্থ থাকতে হলে এখনই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনকে অভ্যাসে পরিণত করতে হবে—নিজের জন্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও।

বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাস্থ্যই আসল সম্পদ। নিজের স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিন, নিয়মিত পরীক্ষা করুন, সচেতন জীবনযাপন করুন—কারণ সুস্থ জীবনই পারে পরিবার ও সমাজকে এগিয়ে নিতে।

সূত্র দ্য হেলথ সাইট

কোটের হাতাতে এই অতিরিক্ত বোতাম কেন থাকে, আসল রহস্য জেনে নিন

ফ্যাশন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১২:০৮ পিএম
কোটের হাতাতে এই অতিরিক্ত বোতাম কেন থাকে, আসল রহস্য জেনে নিন

জিনসের প্যান্টে ছোট্ট সেই পকেটটার কথা নিশ্চয়ই জানেন। আকারে এতটাই ছোট যে ব্যবহারহীন মনে হতে পারে। কিন্তু ঊনবিংশ শতকে এই পকেট রাখা হয়েছিল বিশেষ একটি কারণে—সেটি ছিল পকেট ঘড়ি রাখার জন্য। কৃষক আর শ্রমিকরা তখন জিনস বেশি পরতেন। মাঠে বা কাজে তারা কোট ব্যবহার করতে পারতেন না। তাই জিনসেই বানানো হয়েছিল ঘড়ি রাখার জায়গা।

তেমনি কোট বা স্যুট জ্যাকেটের নকশাতেও লুকিয়ে আছে এক ইতিহাস। কোটের হাতাতে যে বাড়তি বোতামগুলো দেখা যায়, সেগুলো অনেকের কাছেই কেবল সাজসজ্জা মনে হতে পারে। তবে এর পেছনেও রয়েছে কার্যকারিতা।

এই বোতামগুলোকে বলা হয় ‘সার্জনস কাফ’। ইতিহাস বলছে, চিকিৎসকরা যখন আধুনিক মেডিকেল পোশাক ব্যবহার করতেন না, তখন তারা স্যুট পরেই রোগী দেখতেন। ফলে হাত ধোয়া বা পরিষ্কার করার জন্য প্রয়োজন হতো আস্তিন গুটিয়ে নেওয়ার। কোটের আস্তিনে বোতাম থাকার ফলে তখন সেটি খোলা যেত, আর সহজেই হাত পরিষ্কার করা সম্ভব হতো।

ধারণা করা হয়, ঊনবিংশ শতকে কোটের নকশায় এই বোতামের ব্যবহার শুরু হয়। তখন এগুলো কার্যকরভাবেই ব্যবহৃত হতো, ঠিক যেমন শার্টের আস্তিনের বোতাম খোলা যায়।

তবে এখন সময় বদলেছে। আধুনিক স্যুট জ্যাকেটের আস্তিনে থাকা বোতামগুলো আর খোলা যায় না। সেগুলো কেবল নকশা ও ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে থেকে গেছে। অতীতের ব্যবহারিক প্রয়োজন আজ রয়ে গেছে ফ্যাশনের ছোঁয়ায়। তাই কোটের আস্তিনে থাকা বাড়তি বোতাম এখন আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবেই পরিচিত।

সূত্র : জিও নিউজ উর্দু

পুরুষদের জন্য শীতকালীন ৮ সেরা আউটফিট আইডিয়া

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৫৮ এএম
পুরুষদের জন্য শীতকালীন ৮ সেরা আউটফিট আইডিয়া

শীত এখন পুরোপুরি এসেই গেছে! আপনি হয়তো অনেক কাপড়ের লেয়ার পরে থাকছেন, কিন্তু তাই বলে স্টাইলের সঙ্গে আপস করার কোনো দরকার নেই। ঠান্ডা মৌসুম আসলে দারুণ টেক্সচার, ফ্যাব্রিক এবং লেয়ারিং নিয়ে পরীক্ষা করার সেরা সময়।

মিটিং হোক বা সপ্তাহান্তের ট্রিপ, আমাদের আজকের শীতকালীন আউটফিট আইডিয়াগুলো আপনাকে দেবে উষ্ণতা এবং স্টাইল, দুটোই। ক্যাজুয়াল, অফিস কিংবা পার্টি – সব লুকেই থাকুন ট্রেন্ডের এক ধাপ এগিয়ে।

শীতের ফ্যাশন কেবল ঠান্ডা থেকে রক্ষা পাওয়া নয়, বরং স্টাইল আর ফাংশনকে মিলিয়ে নেওয়ার কৌশল। অফিসের ক্লাসিক পোশাক থেকে শুরু করে ট্রেন্ডি ক্যাজুয়াল লুক এবং এলিগ্যান্ট পার্টি আউটফিট পর্যন্ত, আজকের লেখা আপনাকে যে কোনো অনুষ্ঠানের জন্য স্টাইলিশ শীতের পোশাক বেছে নিতে সাহায্য করবে।

ফরমাল স্যুট ও ওভারকোট

নেভি বা গ্রে রঙের স্লিম-ফিট স্যুটের ওপর লং ওভারকোট, একটি টাইমলেস শীতের লুক। অফিস মিটিং বা কর্পোরেট ইভেন্ট – সব জায়গাতেই মানিয়ে যায়। লেদার জুতো দিয়ে লুকটি সম্পূর্ণ করুন।

হুডি ও বোম্বার জ্যাকেট

হুডির ওপর বোম্বার জ্যাকেট, নিচে স্লিম-ফিট জিন্স বা কার্গো – আরামদায়ক ও স্টাইলিশ ক্যাজুয়াল আউটফিট। বোম্বার দেবে উষ্ণতা, আর হুডি আনবে নরম আরাম। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা বা সাধারণ আউটিংয়ের জন্য দারুণ।

ওভারশার্ট ও ডেনিম

প্লেইন টি-শার্টের উপর ফ্লানেল ওভারশার্ট, সঙ্গে রিল্যাক্সড-ফিট জিন্স – সহজ, আরামদায়ক এবং শীতের জন্য উপযুক্ত ক্যাজুয়াল লুক। ওভারশার্ট দেবে বাড়তি উষ্ণতা, আর ডেনিম দেবে আরাম।

লেদার জ্যাকেট ও রিপড জিন্স

ক্লাসিক ব্ল্যাক লেদার জ্যাকেটের নিচে গ্রাফিক টি- একেবারে বোল্ড এবং এডজি লুক। রিপড জিন্স ও বুট পরলে পার্টি-রেডি আউটফিট হয়ে যাবে। ক্যাজুয়াল শীতকালীন গেট-টুগেদারের জন্য পারফেক্ট।

ভেলভেট ব্লেজার ও ডার্ক প্যান্ট

পার্টিতে একটু এলিগ্যান্ট লুক চাইলে ভেলভেট ব্লেজারের সঙ্গে ডার্ক চিনো বা ট্রাউজার দারুণ মানায়। পকেট স্কয়ার যোগ করলে আরও স্মার্ট লাগে। সেমি-ফরমাল বা ফরমাল শীতের পার্টির জন্য উপযুক্ত।

ট্র্যাডিশনাল বন্ধগলা ও শাল

ডার্ক টোনের বন্ধগলা স্যুটের সঙ্গে কাশ্মিরি শাল – উষ্ণতা ও ঐতিহ্যের সুন্দর মিশ্রণ। বিয়ের মতো ফরমাল ইভেন্টে Cultural ছোঁয়া যোগ করতে চাইলে এটা সেরা পছন্দ।

টার্টলনেক ও ডাবল-ব্রেস্টেড ব্লেজার

মডার্ন লুক চাইলে টার্টলনেকের সঙ্গে ডাবল-ব্রেস্টেড ব্লেজার অসাধারণ মানায়। স্মার্ট-ক্যাজুয়াল এই লুকটি শীতের বিয়েতেও দারুণ চলে। টার্টলনেক দেবে আরাম, আর ব্লেজার আনবে স্ট্রাকচার ও স্টাইল।

পুরুষদের শীতের পোশাক বাছাইয়ের টিপস

ফ্যাব্রিক নির্বাচন : উষ্ণতা ও আরামের জন্য উল, ক্যাশমিয়ার, ফ্লিসই সেরা। হালকা শীতে কটন বা ব্লেন্ড ভালো। বৃষ্টি হলে ওয়াটারপ্রুফ ফ্যাব্রিক বেছে নিন।

লেয়ারিং : প্রথমে থার্মাল, তারপর সোয়েটার/হুডি/শার্ট, আর সবশেষে জ্যাকেট বা কোট – এটাই সঠিক লেয়ারিং।

বহুমুখী পোশাক : ডার্ক ট্রাউজার, নিউট্রাল সোয়েটার, টেইলরড ব্লেজার – এসব বেসিক আইটেম বারবার ব্যবহার করা যায়।

প্রয়োজনীয় অ্যাক্সেসরিজ : স্কার্ফ, গ্লাভস, ক্যাপ – উষ্ণও রাখে, স্টাইলও বাড়ায়। লেদার জুতো বা বুট শীতে খুবই কার্যকর।

স্টাইল টিপস

রঙের সমন্বয়

ফরমাল লুকের জন্য গ্রে, নেভি আর ব্ল্যাক সবচেয়ে ভালো। তবে ক্যাজুয়ালে চাইলে উজ্জ্বল রঙ বা প্যাটার্ন নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করুন।

অ্যাক্সেসরিজ ব্যবহার করুন

স্কার্ফ বা গ্লাভস সাধারণ জিন্স-সোয়েটারকেও স্মার্ট করে তুলতে পারে।

টেক্সচারের মিক্স

লেদার + উল, ডেনিম + ফ্লিস – এই ধরনের মিক্স মাত্রা বাড়ায় এবং লুককে আকর্ষণীয় করে তোলে।

শীতকালীন স্টাইল আয়ত্তে রাখুন

সঠিক ফ্যাব্রিক, লেয়ারিং আর বহুমুখী পোশাক – এগুলো মিলে শীতেও আপনি একইসঙ্গে উষ্ণ ও স্টাইলিশ থাকতে পারবেন। অফিস মিটিং থেকে শুরু করে ক্যাজুয়াল আউটিং – সব জায়গায় মানিয়ে যাবে আপনার লুক।

শীতের ফ্যাশন মানেই স্টাইল ত্যাগ নয়, বরং আরও সুযোগ নিজের ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তোলার। উলেন ট্রাউজার, কর্ডস, চিনো- এ ধরনের শীতের প্রয়োজনীয় পোশাক আপনার ওয়ার্ডরোবকে সম্পূর্ণ করবে।

শীতকালীন আউটফিট নিয়ে যত প্রশ্ন

কাজ ও ক্যাজুয়াল আউটিং – দুই জায়গায় মানাবে এমন শীতের আউটফিট কী কী

উত্তর : কাজের জন্য টার্টলনেক + ব্লেজার এবং ক্যাজুয়ালের জন্য হুডি + বোম্বার জ্যাকেট দারুণ মানানসই।

শীতে সঠিক লেয়ারিং কীভাবে করবেন

উত্তর : প্রথমে থার্মাল → তারপর সোয়েটার/শার্ট → তারপর জ্যাকেট/কোট। এতে সারাদিন উষ্ণ ও আরামদায়ক লাগে।

শীতের ওয়ার্ডরোবের প্রয়োজনীয় আইটেম কী

উত্তর : উষ্ণ ফ্যাব্রিকের সোয়েটার, স্কার্ফ ও গ্লাভস, ডার্ক ট্রাউজার, ব্লেজার, জ্যাকেট—এগুলো সবচেয়ে জরুরি।

শীতের পোশাকে কি স্টাইল ও ফাংশন দুটোই রাখা সম্ভব?

উত্তর : অবশ্যই! উল বা ফ্লিসের মতো উষ্ণ ফ্যাব্রিক এবং স্মার্ট লেয়ারিং ব্যবহার করলে স্টাইল ও ব্যবহারিকতা দুটোই পাওয়া যায়।

শীতে আরাম ও স্টাইল দুটো কীভাবে ব্যালেন্স করবেন

উত্তর : উষ্ণ ফ্যাব্রিক বেছে নিন, সঙ্গে স্কার্ফ বা গ্লাভস যোগ করুন। ক্লাসিক কম্বিনেশনের সঙ্গে আধুনিক আউটারওয়্যার ব্যবহার করলে লুক আরও সুন্দর হয়।

সূত্র : ব্রাইট সাইড