খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮ পৌষ, ১৪৩২

পুরুষদের জন্য শীতকালীন ৮ সেরা আউটফিট আইডিয়া

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৫৮ এএম
পুরুষদের জন্য শীতকালীন ৮ সেরা আউটফিট আইডিয়া

শীত এখন পুরোপুরি এসেই গেছে! আপনি হয়তো অনেক কাপড়ের লেয়ার পরে থাকছেন, কিন্তু তাই বলে স্টাইলের সঙ্গে আপস করার কোনো দরকার নেই। ঠান্ডা মৌসুম আসলে দারুণ টেক্সচার, ফ্যাব্রিক এবং লেয়ারিং নিয়ে পরীক্ষা করার সেরা সময়।

মিটিং হোক বা সপ্তাহান্তের ট্রিপ, আমাদের আজকের শীতকালীন আউটফিট আইডিয়াগুলো আপনাকে দেবে উষ্ণতা এবং স্টাইল, দুটোই। ক্যাজুয়াল, অফিস কিংবা পার্টি – সব লুকেই থাকুন ট্রেন্ডের এক ধাপ এগিয়ে।

শীতের ফ্যাশন কেবল ঠান্ডা থেকে রক্ষা পাওয়া নয়, বরং স্টাইল আর ফাংশনকে মিলিয়ে নেওয়ার কৌশল। অফিসের ক্লাসিক পোশাক থেকে শুরু করে ট্রেন্ডি ক্যাজুয়াল লুক এবং এলিগ্যান্ট পার্টি আউটফিট পর্যন্ত, আজকের লেখা আপনাকে যে কোনো অনুষ্ঠানের জন্য স্টাইলিশ শীতের পোশাক বেছে নিতে সাহায্য করবে।

ফরমাল স্যুট ও ওভারকোট

নেভি বা গ্রে রঙের স্লিম-ফিট স্যুটের ওপর লং ওভারকোট, একটি টাইমলেস শীতের লুক। অফিস মিটিং বা কর্পোরেট ইভেন্ট – সব জায়গাতেই মানিয়ে যায়। লেদার জুতো দিয়ে লুকটি সম্পূর্ণ করুন।

হুডি ও বোম্বার জ্যাকেট

হুডির ওপর বোম্বার জ্যাকেট, নিচে স্লিম-ফিট জিন্স বা কার্গো – আরামদায়ক ও স্টাইলিশ ক্যাজুয়াল আউটফিট। বোম্বার দেবে উষ্ণতা, আর হুডি আনবে নরম আরাম। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা বা সাধারণ আউটিংয়ের জন্য দারুণ।

ওভারশার্ট ও ডেনিম

প্লেইন টি-শার্টের উপর ফ্লানেল ওভারশার্ট, সঙ্গে রিল্যাক্সড-ফিট জিন্স – সহজ, আরামদায়ক এবং শীতের জন্য উপযুক্ত ক্যাজুয়াল লুক। ওভারশার্ট দেবে বাড়তি উষ্ণতা, আর ডেনিম দেবে আরাম।

লেদার জ্যাকেট ও রিপড জিন্স

ক্লাসিক ব্ল্যাক লেদার জ্যাকেটের নিচে গ্রাফিক টি- একেবারে বোল্ড এবং এডজি লুক। রিপড জিন্স ও বুট পরলে পার্টি-রেডি আউটফিট হয়ে যাবে। ক্যাজুয়াল শীতকালীন গেট-টুগেদারের জন্য পারফেক্ট।

ভেলভেট ব্লেজার ও ডার্ক প্যান্ট

পার্টিতে একটু এলিগ্যান্ট লুক চাইলে ভেলভেট ব্লেজারের সঙ্গে ডার্ক চিনো বা ট্রাউজার দারুণ মানায়। পকেট স্কয়ার যোগ করলে আরও স্মার্ট লাগে। সেমি-ফরমাল বা ফরমাল শীতের পার্টির জন্য উপযুক্ত।

ট্র্যাডিশনাল বন্ধগলা ও শাল

ডার্ক টোনের বন্ধগলা স্যুটের সঙ্গে কাশ্মিরি শাল – উষ্ণতা ও ঐতিহ্যের সুন্দর মিশ্রণ। বিয়ের মতো ফরমাল ইভেন্টে Cultural ছোঁয়া যোগ করতে চাইলে এটা সেরা পছন্দ।

টার্টলনেক ও ডাবল-ব্রেস্টেড ব্লেজার

মডার্ন লুক চাইলে টার্টলনেকের সঙ্গে ডাবল-ব্রেস্টেড ব্লেজার অসাধারণ মানায়। স্মার্ট-ক্যাজুয়াল এই লুকটি শীতের বিয়েতেও দারুণ চলে। টার্টলনেক দেবে আরাম, আর ব্লেজার আনবে স্ট্রাকচার ও স্টাইল।

পুরুষদের শীতের পোশাক বাছাইয়ের টিপস

ফ্যাব্রিক নির্বাচন : উষ্ণতা ও আরামের জন্য উল, ক্যাশমিয়ার, ফ্লিসই সেরা। হালকা শীতে কটন বা ব্লেন্ড ভালো। বৃষ্টি হলে ওয়াটারপ্রুফ ফ্যাব্রিক বেছে নিন।

লেয়ারিং : প্রথমে থার্মাল, তারপর সোয়েটার/হুডি/শার্ট, আর সবশেষে জ্যাকেট বা কোট – এটাই সঠিক লেয়ারিং।

বহুমুখী পোশাক : ডার্ক ট্রাউজার, নিউট্রাল সোয়েটার, টেইলরড ব্লেজার – এসব বেসিক আইটেম বারবার ব্যবহার করা যায়।

প্রয়োজনীয় অ্যাক্সেসরিজ : স্কার্ফ, গ্লাভস, ক্যাপ – উষ্ণও রাখে, স্টাইলও বাড়ায়। লেদার জুতো বা বুট শীতে খুবই কার্যকর।

স্টাইল টিপস

রঙের সমন্বয়

ফরমাল লুকের জন্য গ্রে, নেভি আর ব্ল্যাক সবচেয়ে ভালো। তবে ক্যাজুয়ালে চাইলে উজ্জ্বল রঙ বা প্যাটার্ন নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করুন।

অ্যাক্সেসরিজ ব্যবহার করুন

স্কার্ফ বা গ্লাভস সাধারণ জিন্স-সোয়েটারকেও স্মার্ট করে তুলতে পারে।

টেক্সচারের মিক্স

লেদার + উল, ডেনিম + ফ্লিস – এই ধরনের মিক্স মাত্রা বাড়ায় এবং লুককে আকর্ষণীয় করে তোলে।

শীতকালীন স্টাইল আয়ত্তে রাখুন

সঠিক ফ্যাব্রিক, লেয়ারিং আর বহুমুখী পোশাক – এগুলো মিলে শীতেও আপনি একইসঙ্গে উষ্ণ ও স্টাইলিশ থাকতে পারবেন। অফিস মিটিং থেকে শুরু করে ক্যাজুয়াল আউটিং – সব জায়গায় মানিয়ে যাবে আপনার লুক।

শীতের ফ্যাশন মানেই স্টাইল ত্যাগ নয়, বরং আরও সুযোগ নিজের ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তোলার। উলেন ট্রাউজার, কর্ডস, চিনো- এ ধরনের শীতের প্রয়োজনীয় পোশাক আপনার ওয়ার্ডরোবকে সম্পূর্ণ করবে।

শীতকালীন আউটফিট নিয়ে যত প্রশ্ন

কাজ ও ক্যাজুয়াল আউটিং – দুই জায়গায় মানাবে এমন শীতের আউটফিট কী কী

উত্তর : কাজের জন্য টার্টলনেক + ব্লেজার এবং ক্যাজুয়ালের জন্য হুডি + বোম্বার জ্যাকেট দারুণ মানানসই।

শীতে সঠিক লেয়ারিং কীভাবে করবেন

উত্তর : প্রথমে থার্মাল → তারপর সোয়েটার/শার্ট → তারপর জ্যাকেট/কোট। এতে সারাদিন উষ্ণ ও আরামদায়ক লাগে।

শীতের ওয়ার্ডরোবের প্রয়োজনীয় আইটেম কী

উত্তর : উষ্ণ ফ্যাব্রিকের সোয়েটার, স্কার্ফ ও গ্লাভস, ডার্ক ট্রাউজার, ব্লেজার, জ্যাকেট—এগুলো সবচেয়ে জরুরি।

শীতের পোশাকে কি স্টাইল ও ফাংশন দুটোই রাখা সম্ভব?

উত্তর : অবশ্যই! উল বা ফ্লিসের মতো উষ্ণ ফ্যাব্রিক এবং স্মার্ট লেয়ারিং ব্যবহার করলে স্টাইল ও ব্যবহারিকতা দুটোই পাওয়া যায়।

শীতে আরাম ও স্টাইল দুটো কীভাবে ব্যালেন্স করবেন

উত্তর : উষ্ণ ফ্যাব্রিক বেছে নিন, সঙ্গে স্কার্ফ বা গ্লাভস যোগ করুন। ক্লাসিক কম্বিনেশনের সঙ্গে আধুনিক আউটারওয়্যার ব্যবহার করলে লুক আরও সুন্দর হয়।

সূত্র : ব্রাইট সাইড

ফরিদপুরে ক্লুলেস অটোরিকশা চালক হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন, গ্রেপ্তার দুই আসামি

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২:৫৫ পিএম
ফরিদপুরে ক্লুলেস অটোরিকশা চালক হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন, গ্রেপ্তার দুই আসামি

ফরিদপুরের কলাবাগানের ক্লুলেস সেই অটোরিকশা চালক হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়।

পুলিশ জানায়, গত ১৮ ডিসেম্বর সকালে ফরিদপুর শহরের ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের চাদপুর এলাকার একটি কলাবাগান থেকে টিপু শেখ (৪০) নামে এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে তার বড় ভাই সিদ্দিক শেখ বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

মামলার পর পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলামের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আজমীর হোসেনের নেতৃত্বে একটি চৌকস তদন্ত দল মাঠে নামে। তদন্তকালে প্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রথমে রজিব খান (৪১) নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক তথ্যের ভিত্তিতে অপর আসামি মান্নান হাওলাদারকে (৩২) আটক করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আসামি রাজিব খান ও নিহত টিপু দুজনেই একটি ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। পাশাপাশি নিহত টিপু জীবিকা নির্বাহের জন্য অটোরিকশা চালাতেন। ঘটনার দিন গত ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার দিকে নেশা করার প্রলোভন দেখিয়ে কাজ শেষে রাজবাড়ী সড়কের মোড়ে নিহত টিপুর সঙ্গে দেখা করেন আসামি রাজিব।

সে সময় আসামি রাজিবের কাছে একটি পুরাতন চাকু ও গাড়ির লোহার একটি পাতি ছিল। পরে তারা নিহত টিপুর রিকশায় করে ফরিদপুরের চাঁদপুর গ্রামের একটি নির্জন স্থানে পুকুরপাড়ের কলাবাগানে যান। সেখানে তারা গাঁজা ও সিগারেট সেবন করেন।

একপর্যায়ে আসামি রাজিব হঠাৎ করে লোহার পাতি দিয়ে নিহত টিপুর মাথায় সজোরে আঘাত করেন। টিপু মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার মাথা ও মুখে আরও চার থেকে পাঁচবার আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।

ঘটনার পর ব্যবহৃত চাকু ও লোহার পাতি পাশের একটি পুকুরে ফেলে দেন আসামি রাজিব। এরপর নিহত টিপুর মরদেহ কলাবাগানে ফেলে রেখে তার রিকশাটি নিয়ে ফরিদপুর শহরের র‌্যাফেলস ইন মোড়ে যান। সেখানে তিনি মান্নান হাওলাদার নামে এক ব্যক্তির কাছে লুট করা রিকশাটি বিক্রির জন্য দেন। পরদিন রিকশা বিক্রির বাবদ মান্নান হাওলাদার আসামি রাজিবকে ১৪ হাজার ৫০০ টাকা প্রদান করেন।

পুলিশ আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে ফরিদপুরের সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের একটি কলাবাগান থেকে টিপু সুলতান নামে এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার একদিন পর নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে ফরিদপুরের কোতয়ালী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এরপর এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে মাঠে নামে পুলিশ।

ফরিদপুরে গ্রাহকের পাশে বেস্ট ইসলামী লাইফ ইনসুরেন্স: মৃত্যু দাবি চেক হস্তান্তর

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১:৪৪ পিএম
ফরিদপুরে গ্রাহকের পাশে বেস্ট ইসলামী লাইফ ইনসুরেন্স: মৃত্যু দাবি চেক হস্তান্তর

বেস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসি’র উদ্যোগে ফরিদপুরে মৃত্যু দাবি চেক হস্তান্তর ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে শহরের জনতা ব্যাংকের মোড়ের বেস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্সের ফরিদপুর বিভাগীয় অফিস প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বেস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসি’র উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব ট্রেনিং মো. জামিল উদ্দিন মিন্টু এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট এজেন্সি ডিরেক্টর মিসেস কামরুন্নাহার জুথি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এজেন্সি ডিরেক্টর সাজেদ মাতুব্বর।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়ার মাধ্যমে কর্মসূচি সূচনা করা হয়। পরে বিভিন্ন পলিসি গ্রাহকের উত্তরাধিকারীদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত্যু দাবি চেক তুলে দেওয়া হয়।

এ সময় উপকারভোগীরা সময়মতো দাবি পরিশোধ করায় প্রতিষ্ঠানটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোশাররফ হোসেন বলেন, “বেস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স সবসময় শরিয়াহসম্মত ও গ্রাহকবান্ধব সেবা প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ। গ্রাহকের দুর্দিনে পাশে দাঁড়ানোই আমাদের মূল লক্ষ্য। মৃত্যু দাবি দ্রুত ও স্বচ্ছভাবে পরিশোধ করা আমাদের প্রতিষ্ঠানের নৈতিক দায়িত্ব।” তিনি আরও বলেন, বীমা শুধু একটি আর্থিক সুরক্ষা নয়, বরং পরিবারের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার একটি শক্ত ভিত্তি।

বিশেষ অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বীমার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, সচেতনভাবে বীমা গ্রহণ করলে অনিশ্চিত জীবনে আর্থিক ঝুঁকি অনেকাংশে কমে আসে। তারা বেস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সেবার মান ও দাবি নিষ্পত্তির স্বচ্ছতার প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠান শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া পরিচালনা করা হয়। এ সময় কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারী, এজেন্ট, গ্রাহক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

‘শিল্পী, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান সম্মান না পেলে বাংলাদেশে ফিরব না’

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১২:৪০ পিএম
‘শিল্পী, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান সম্মান না পেলে বাংলাদেশে ফিরব না’
বাংলার অন্যতম সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার পর নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশে আপাতত আর না ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী সিরাজ আলী খান। তিনি উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতগুরু ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর প্রপৌত্র এবং মাইহার ঘরানার প্রতিনিধিত্বশীল শিল্পী। বর্তমানে তিনি ভারতে বসবাস করেন।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকার ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা ছিল সিরাজ আলী খানের।
কিন্তু বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ছায়ানট প্রাঙ্গণে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়, আগুন দেওয়া হয়। এরপর শিল্পী ও তার সহযোগীদের মধ্যে চরম নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়।এ বিষয়ে দেওয়া এক বিবৃতিতে সিরাজ আলী খান বলেন, আমি সবসময় বাংলাদেশে ফিরেছি আমার শেকড়ের টানে। আমার পরিবারের সংগীত, বড়ো বাবা ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর ঐতিহ্য এবং মাইহার ঘরানার জীবন্ত ধারাটি ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
আমি এসেছিলাম শুধু সংগীত, বিনয় ও শ্রদ্ধা নিয়ে। কিন্তু এই প্রথম আমাদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে ভয় পেয়েছি।তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে নিজেকে একজন ভারতীয় শিল্পী হিসেবে পরিচয় দেওয়া যে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে, তা আমি কখনো কল্পনাও করিনি। সৌভাগ্যক্রমে আমরা নিরাপদে ভারতে ফিরে আসতে পেরেছি।
সিরাজ আলী খান মনে করেন, ছায়ানটে হামলার ঘটনাটি কেবল একটি স্থাপনা বা বাদ্যযন্ত্রের ওপর আক্রমণ নয়। তিনি বলেন, এটি শিল্পী, সংস্কৃতি এবং আমাদের যৌথ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ওপর সরাসরি আঘাত।ভারাক্রান্ত হৃদয়ে নেওয়া সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, শিল্পী, সংগীত এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান যতদিন না যথাযথ সম্মান ও সুরক্ষা পাবে, ততদিন আমি বাংলাদেশে আর ফিরব না।

তবে হতাশার মধ্যেও আশার কথা শোনান এই শিল্পী। তার ভাষায়, আমি এখনো বিশ্বাস করি সংগীত মানুষের মাঝে সেতু তৈরি করে।

একদিন সেই পরিবেশ ফিরে আসবে যখন শিল্প ও সংস্কৃতি আবার নিরাপদ হবে- এই আশাই রাখি।উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর ঢাকার লালবাগ কেল্লায় ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আয়োজনের ধ্রুপদী সংগীতের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিল সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সেই অনুষ্ঠানেও সংগীত পরিবেশন করে প্রশংসিত হয়েছিলেন সিরাজ আলী খান। এরপর গেল ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় এসেছিলেন তিনি।