খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩ পৌষ, ১৪৩২

কৃষক কীভাবে তাঁর পণ্যে বিএসটিআইয়ের সিল মারবেন

নাহিদ হাসান
প্রকাশিত: বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩:৩৪ পিএম
কৃষক কীভাবে তাঁর পণ্যে বিএসটিআইয়ের সিল মারবেন

একটি দেশ আছে, যেখানে গরু আর ঘাস খায় না, চরে না চারণভূমিতে। সেখানে গরু, মাছ, মুরগি মূলত খায় ভুট্টা।  দেশটিতে মুরগি জন্মের পর কখনো সূর্যের আলোর মুখ দেখতে পায় না। একজন কৃষক নিজের খামারে জানালা রেখেছিলেন, যেন মুরগির কাছে আলো পৌঁছায়। তাঁর খামার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। দেশটিতে সবজির কোনো আলাদা ঋতু নেই। টমেটো পাওয়া যায় সারা বছর। টমেটো পাকানো হয় ইথিলিন ব্যবহার করে। দেশটিতে পেটেন্ট জিনের সয়াবিনবীজ সংরক্ষণ করলে সন্ধ্যায় পুলিশের মতো ব্যক্তিগত তদন্তকারীরা বাড়িতে হানা দেয়, যাঁদের নিয়োগ দিয়েছেন বীজ বিক্রেতারা। আর এসব ঘটনা যে দেশে ঘটে, তার নাম যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি ও খাদ্যপণ্য নিয়ে টানা ছয় বছর কাজ করে ২০০৮ সালে রবার্ট কেনার একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন। ওই তথ্যচিত্রের বাংলা নাম হতে পারে ‘খাদ্য কোম্পানি’। যখন তথ্যচিত্রটি বের হয়, তখন ঘটনাগুলো আমাদের কাছে ছিল অবাস্তব। কিন্তু আজ যুক্তরাষ্ট্র নয়, মনে হয় ওই তথ্যচিত্রের ঘটনাস্থল বাংলাদেশও।

যে ধরনের উদ্ভিদ বা বীজ বপন করলে পরিবেশে বিশেষ জীব, অণুজীবদের জীবন টেকা কঠিন, সেই ধরনের বীজ বা উদ্ভিদকে প্রবেশাধিকার দিলে পরিবেশের বারোটা বেজে যায়। বিজ্ঞানীরা এ ধরনের বীজ বা উদ্ভিদকে নাম দিয়েছেন আগন্তুক প্রজাতি।

বাংলাদেশে এখন আগন্তুক প্রজাতির বীজের ব্যবহার বেড়েছে। তবে হাইব্রিড বীজের উৎপাদনসক্ষমতা যাচাই, নজরদারি ও সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করেনি সরকার। কৃষক জমিতে কেমন বীজ লাগাচ্ছেন, তা দেখভালের কেউ নেই। কিন্তু কৃষক যা উৎপাদন করবেন, তা বিক্রি করতে গেলে সনদ নিতে হবে, এ কেমন কথা!

দুই.

উলিপুর উপজেলার দুই তরুণ ব্রহ্মপুত্রের একটি চরে কৃষি খামার দিয়েছেন। শর্ষের খেতে ফুল এলে তাঁরা মধু সংগ্রহ করেন। তারপর শর্ষেদানা এলে কাঠের ঘানিতে করেন তেল উৎপাদন। সেই তেল তাঁরা স্থানীয়দের মধ্যে বিক্রি করেন। কিন্তু বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন বা বিএসটিআইয়ের প্রত্যয়ন না থাকায় শহরের দোকানিরা সেই তেল রাখতে আগ্রহী হন না। তবে তাঁদের কাছে বিএসটিআইয়ের প্রত্যয়ন না থাকলেও স্থানীয় প্রত্যয়ন আছে।

আর প্রত্যয়ন দেয় কারা? ১. কৃষক নিজে, ২. সামাজিক প্রত্যয়ন। প্রথমত, কৃষক নিজের চাষকে প্রত্যয়ন দেন। তারপর আছে সামাজিক প্রত্যয়ন। সেটা দেন স্থানীয় ভোক্তারা। তবে এর বাইরেও একটা প্রত্যয়ন কোনো পণ্য বাজারজাত করতে গেলে জরুরি। সেটা হলো প্রতিষ্ঠানের কাছে থেকে প্রত্যয়ন। তবে কৃষকের পক্ষে প্রতিষ্ঠানের থেকে প্রত্যয়ন গ্রহণের রাস্তা নেই।

বাংলাদেশ সরকার যদি কোনো পণ্যকে মানের স্বীকৃতি দিতে চায়, তার জন্য কিছু নিয়ম আছে। বিএসটিআইয়ের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি পণ্য বানান, কোনো প্রক্রিয়া ব্যবহার করে বা কোনো পেটেন্ট, ট্রেডমার্ক বা ডিজাইন ব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড মার্ক ব্যবহার করতে চান, তাঁকে লাইসেন্স নিতে হবে।

লাইসেন্স পেতে নির্ধারিত ফি দিতে হয় এবং নির্ধারিত ফরম পূরণ করে বিএসটিআইয়ে আবেদন করতে হয়। এরপর বিএসটিআই পণ্য পরীক্ষা করে সন্তুষ্ট হলে লাইসেন্স দেয়। কিন্তু এই পুরো প্রক্রিয়ায় অনেক ধাপ রয়েছে, যার ফলে অনুমোদন নিতে সময় লাগে এবং পণ্যের দাম বাড়ে।

উদাহরণস্বরূপ, চিলমারীর নারীরা হাতে মুড়ি বানান। যদি তাঁরা এই মুড়ি ঢাকা শহরে বিক্রি করতে চান, তাহলে তাঁরা বিএসটিআইয়ের সিল কীভাবে পাবেন? লাইসেন্স নেওয়া ও অনুমোদনের প্রক্রিয়ার চেয়ে তাঁর কাজটা তো অনেক সহজ।

ফলে স্থানীয় পর্যায়ের খাঁটি শর্ষের তেল, মধু বা মুড়ি উৎপাদনকারীদের যে কাজের সুযোগ হওয়ার কথা ছিল, তা আর হয় না। একজন কৃষক শর্ষে বিক্রি করে উৎপাদন খরচ তুলতে না পারলেও, বাড়তি শ্রম যুক্ত করে তেল বা মুড়ি বানিয়ে হয়তো আয়ে কিছুটা ভারসাম্য রাখতে পারতেন।

এখানে সামাজিক শক্তিকেই পণ্যের প্রত্যয়নের কাজে লাগানো যায়। যে মানুষেরা খাবেন, তাঁরাই সেই খাবারের মান যাচাই করবেন। যে কৃষক শহরে পণ্য বিক্রি করবেন, তিনিই এই সামাজিক প্রত্যয়ন গ্রহণ করবেন। পাড়াভিত্তিক ছোট কমিটি করা যেতে পারে। যেখানে হয়তো থাকবেন দুজন শিক্ষক, দুজন ইমাম বা অন্যান্য ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, দুজন গৃহিণীসহ মোট ২০ জন ভোক্তা। তাঁরাই প্রত্যয়ন দেবেন। উৎপাদক চাইলে সহজেই এই ভোক্তাদের কাছ থেকে এই প্রত্যয়ন সংগ্রহ করতে পারবেন। এই পদ্ধতি জবাবদিহিমূলক, সহজ ও গণমুখী।

  • নাহিদ হাসান লেখক ও সংগঠক। ই–মেইল: nahidknowledge1@gmail.com

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার পরিত্যক্ত জমি এখন দৃষ্টিনন্দন খেলার মাঠ

মিয়া রাকিবুল, আলফাডাঙ্গা:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:৩৪ পিএম
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার পরিত্যক্ত জমি এখন দৃষ্টিনন্দন খেলার মাঠ

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে যাত্রা শুরু হলো একটি নিজস্ব ও সুপরিসর খেলার মাঠের।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসের বর্ণিল অনুষ্ঠানমালা প্রদর্শনের মাধ্যমে নবনির্মিত এই দৃষ্টিনন্দন মাঠটির আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু হয়েছে।

এতদিন উপজেলা প্রশাসনের জাতীয় দিবসের মূল অনুষ্ঠানগুলো পরিষদের বাইরে স্থানীয় আরিফুজ্জামান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হতো। এবারই প্রথম উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে নিজস্ব মাঠে বিজয় দিবস উদযাপিত হলো।

​উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, পরিষদের পুরাতন ভবনের পেছনে বিশাল একখণ্ড নিচু জমি দীর্ঘকাল ধরে পরিত্যক্ত ও অকেঁজো অবস্থায় পড়েছিল। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল হক এই স্থানটিকে ভরাট করে একটি আধুনিক মাঠে রূপান্তরের উদ্যোগ নেন এবং স্থানীয় সমাজ সেবকদের সহযোগিতার আহ্বান জানান। ​ইউএনও’র সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে তরুণ সমাজসেবক তাজমিনউর রহমান তুহিন মাঠটি তৈরির দায়িত্ব নেন। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিদ্যাধর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মরহুম আলহাজ্ব আলী আহমেদ মৃধার ছেলে। তুহিন হযরত শাহ্ জালাল মৎস্য এ্যান্ড ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী ও লেবাজ সোয়েটার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান।

​ব্যক্তিগত অর্থায়ন ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রায় এক মাস সময় ধরে বিপুল পরিমাণ মাটি ভরাট করে জায়গাটিকে একটি আধুনিক ও সমতল খেলার মাঠে রূপান্তর করেন তুহিন। তার এই নিঃস্বার্থ অবদানের ফলে বর্তমানে মাঠটি সবুজ ঘাসে আচ্ছাদিত এক মনোরম স্থানে পরিণত হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর এই মাঠেই অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে কুচকাওয়াজ ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

​নতুন মাঠে প্রথম অনুষ্ঠান সফল হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তাজমিনউর রহমান তুহিন বলেন, ‘তৎকালীন ইউএনও রফিকুল হকের অনুপ্রেরণায় আমরা কাজটি শুরু করি। আজ যখন দেখলাম এই সুন্দর মাঠে জাতি শ্রদ্ধাভরে বিজয় দিবস উদযাপন করছে, তখন মনটা ভরে গেল। এটি আলফাডাঙ্গাবাসীর জন্য একটি স্থায়ী মিলনকেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।’

​এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মনিরুল হক সিকদার বলেন, ‘এটি আলফাডাঙ্গাবাসীর জন্য একটি বড় প্রাপ্তি। উপজেলা পরিষদের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এমন একটি মাঠের অভাবে জাতীয় অনুষ্ঠান আয়োজনে যে সীমাবদ্ধতা ছিল, তা দূর হলো। সমাজসেবক তুহিনের মতো তরুণরা এগিয়ে এলে সমাজের আমূল পরিবর্তন সম্ভব।’

​উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় সুধীজন মনে করছেন, এই মাঠটি শুধু খেলাধুলা নয়, বরং বছরজুড়ে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি পালনের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হবে।

সদরপুরে অভিযানের দ্বিতীয় দিনেও ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করল প্রশাসন

শিশির খাঁন, সদরপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮:৪৬ পিএম
সদরপুরে অভিযানের দ্বিতীয় দিনেও ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করল প্রশাসন

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করার পর নির্বাচন কমিশন সকল প্রকার রাজনৈতিক ব্যানার ফেস্টুন ও পোস্টার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশনা দেন। গত শনিবার রাত নয় টায় ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন ও পোস্টার অপসারণ করেননি তারা। সেই নির্দেশনা না শুনায় ফেস্টুন অপসারণ করেছে প্রশাসন।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত আনজুম পিয়ার নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন ব্যানার ফেস্টুন এবং পোস্টার অপসারণ অভিযান শুরু করেন।

অভিযানের দ্বিতীয় দিনে সদরপুর বাজার, কৃষ্ণপুর মোড় ও থানার মোড় এলাকায় অপসারণ করেন। এ সময় ভূমি অফিসের কর্মচারী সহ গ্রাম পুলিশের সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

সদরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত আনজুম পিয়া বলেন, রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন এবং পোস্টার অপসারণ করেন নাই বিধায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অপসারণ অভিযান শুরু করেছি।

তিনি আরও বলেন, ফরিদপুর-৪ নির্বাচনী এলাকার সম্ভাব্য সকল প্রার্থীর সব ধরণের পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড , গেইট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী নিজ খরচে/দায়িত্বে অপসারণ করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ফরিদপুর থেকে ঢাকায় পাঠানো হলো ২৪ রোগী

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:১৮ পিএম
বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ফরিদপুর থেকে ঢাকায় পাঠানো হলো ২৪ রোগী

ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসনের আওতাধীন সদরপুর উপজেলা থেকে ২৪ জন অসহায় ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রোগীকে বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়।

এর আগে দুই ধাপে সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলায় বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। প্রথম ধাপে সদরপুর উপজেলায় ৩৫ জন এবং দ্বিতীয় ধাপে চরভদ্রাসন উপজেলায় ২৮ জন রোগীর চোখের ছানি অপারেশন (লেন্সসহ) সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছিল।

এই পুরো কার্যক্রমের সার্বিক ব্যবস্থাপনা, তদারকি ও দেখভাল করছেন ফরিদপুর-৪ আসনের ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান বাবুল।

জানা গেছে, চোখের চিকিৎসার পাশাপাশি তিনি এর আগেও একাধিকবার ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প (ওষুধসহ) এবং ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পের আয়োজন করেছেন। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে সাধারণ ও দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন তিনি।

এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম খান বাবুল জানান, মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার অংশ হিসেবেই এসব মানবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।