খুঁজুন
শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

ফরিদপুরে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর ইউনিয়ন পরিষদ দখলের পায়তারা

রেজাউল করিম বিপুল, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৫:৫৬ পিএম
ফরিদপুরে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর ইউনিয়ন পরিষদ দখলের পায়তারা

faridpur protidin

ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য নুরুজ্জামান চৌধুরী পঙ্কজ এর বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদ দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
পঙ্কজ ১ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়নের কয়েকজন মেম্বারকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে একটি কাগজে স্বাক্ষর নেন। পরে তাদের নিয়ে পঙ্কজ নেতৃত্ব দিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে বর্তমান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন এবং প্যানেল চেয়ারম্যান দেওয়ার দাবি জানান।
বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মজনু অভিযোগ করেন, নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই সে আমাকে নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল। ৫ ই আগস্টের পর  পঙ্কজ  ইউনিয়ন পরিষদ দখলে নিতে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
জোরপূর্বক ইউপি সদস্যদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার চেষ্টা করছে।  সেখান থেকে ফিরেই মেম্বাররা বিষয়টি আমাকে জানান। তার প্রেক্ষিতে তারা নুরুজ্জামান চৌধুরী পঙ্কজ এর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ করে ৪ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
দশজন মেম্বার স্বাক্ষরিত অভিযোগে দেখা যায়, তারা নুরুজ্জামান চৌধুরী পঙ্কজ এর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান মজনুর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের বিষয়টি উল্লেখ করেন।  এ বিষয়ের প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসককে পঙ্কজ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন।
এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি ওই মেম্বারদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেন নুরুজ্জামান চৌধুরী পঙ্কজ। ৩ ফেব্রুয়ারি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের বরাবর চেয়ারম্যানের অনুপস্থিত থাকা ও নানাবিধ অনিয়ম নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন তারা। পরের দিন ৪ ফেব্রুয়ারি ওই মেম্বাররা ফের পঙ্কজ এর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ তুলেন।
মজনু অভিযোগ করেন, জেলা প্রশাসকের কাছে প্রথম দিন অভিযোগ দেয়ার সময় পঙ্কজ নিজে নেতৃত্ব দেন। অথচ সে বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের কেউ নন। শহিদুল ইসলাম মজনু বলেন, ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকে পংকজ ও রঞ্জন আমার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছে। টাকা না দিলে আমাকে ইউনিয়ন পরিষদে বসতে দেবে না। সবশেষ ৩ লাখ টাকার কথা বলছে এই টাকা দিলে আমাকে ইউনিয়ন পরিষদে বসতে দিবেন। তিনি ইউনিয়নের কেউ না হয়েও  সকল কার্মকান্ডে নাকগলিয়ে মেম্বারদের স্বাভাবিক কাজ কর্ম করতে দিচ্ছেন না। তার ভাই রঞ্জনও হুমকি ধামকি দিচ্ছে।
ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোসলেম উদ্দিন বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান পঙ্কজ বিএনপি নেতা। বর্তমান পরিস্থিতি ভালো না তাই তার ভয়ভীতিতে আমি স্বাক্ষর করেছি। আমার এলাকায় চলাচল করতে হয় তারা বলছে তাদের সাথে না গেলে আমি এলাকায় চলাচল করতে পারবো না। তাই স্বাক্ষর করা ছাড়া আমার কোন উপায় ছিল না। জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেওয়ার বিষয়টি আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি।
সংরক্ষিত মহিলা সদস্য (১,২ ও ৩) হাছিনা বেগম বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান পঙ্কজ গন্যমান্য ব্যক্তি সে বললো দেখা করতে। তখন তার সাথে দেখা করতে যায়। তারপর সে জোর করে স্বাক্ষর নেন। আমাকে লেখাটা পড়তেও দেয়নি। এমনভাবে কয়েকজনের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেন পঙ্কজ । তিনি প্রতিনিয়ত চাপ সৃষ্টি করছে।
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু মেম্বারদের মধ্যেও দলাদলি আছে কেউ কেউ স্বেচ্ছায় স্বাক্ষর করে থাকতে পারে তবে অধিকাংশ মেম্বারদের জোর করে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে।
ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান চৌধুরী পঙ্কজ বলেন, ৩০ বছর এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলাম। সবসময় জনগনের সাথেই ছিলাম। কখন ভয়ভীতির রাজনীতি করি নাই্। বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা তিনি পলাতক থাকায় সাধারন মানুষের বিভিন্ন ধরনের সেবা পেতে সমস্যা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যেহেতু চেয়ারম্যান পলাতক তাই প্যানেল চেয়ারম্যান কে দিয়ে যাতে কাজ করানো যায় সে ব্যাপারে মেম্বাররা আমার সাহায্য চাইলে আমি তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। আমার প্রতিপক্ষ মজনু আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা রটনা ও ষড়যন্ত্র করছে।

ফরিদপুরে বেহাল মহাসড়কে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি, ডাকাতির শঙ্কা

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ৬:২৪ পিএম
ফরিদপুরে বেহাল মহাসড়কে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি, ডাকাতির শঙ্কা

 

 

ভাঙ্গা উপজেলা থেকে ফরিদপুর জেলা সদর পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় এবারের ঈদ যাত্রায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ঘর মুখো মানুষকে।

একদিকে খানাখন্দে ভরপুর সড়ক দিয়ে চলাচলে প্রায়শ ভেঙ্গে যাচ্ছে যানবাহনের যন্ত্রপাতি, অন্যদিকে ওই সড়ক অতিক্রমে ভোগান্তির পাশাপাশি ধীর গতির কারণে যথাসময়ে গন্তব্যে পৌছাতে না পারাসহ রাতে ছিনতাই ও ডাকাতির শংকা রয়েছে ঘরমুখো যাত্রীদের মাঝে। যদিও ফরিদপুরের পুলিশ সুপার বলছেন, ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওই অংশে রাতের বেলায় পুলিশ টহল বাড়ানো হয়েছে। তাই শংকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

বরিশাল-ফরিদপুর মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলা এক্সপ্রেসওয়ের শেষ প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের দুরত্ব ৩০ কিলোমিটার, যা দীর্ঘদিন প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে খানাখন্দে ভরে গেছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বেড়েছে খানা-খন্দের পরিমান।

এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই সড়ক ব্যবহার করে যাতায়াত করা ফরিদপুরসহ অন্তত ১০ জেলার মানুষ। ফরিদপুরের সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাদের এই সড়কটির ব্যাপারে উদাসীনতাকে দায়ি করছে এই সড়কে যাতায়াতকারীরা।

ওই সড়ক ব্যবহারকারী যানবাহন চালক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খানাখন্দের কারণে প্রায়শ গাড়ীর যন্তপাতি ভেঙ্গে যাচ্ছে। এছাড়া ধীর গতিতে যানবাহন চালাতে হচ্ছে, ফলে নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পেছানো যাচ্ছেনা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।

এই সড়ক দিয়ে ঢাকাগামী মাইক্রোচালক আবুল হোসেন বলেন, এয়ারপোর্টে যাচ্ছি যাচ্ছি আনতে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত সড়কের যে অবস্থা তাতে গাড়ির গতিসিমা সর্বোচ্চ ১৫ বেশি চালানো যায় না। মহাসড়কের গতি যদি এরকম হয় সে ক্ষেত্রে ডাকাতি সহ নানা পদের ঝামেলার আশঙ্কা থাকে।

এদিকে গাড়ী নষ্ট হওয়া ও ধীর গতির কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন ঘরমুখো মানুষেরাও। এছাড়া রাতে ধীর গতির কারণে ছিনতাই বা ডাকাতির মতো ঘটনার শংকাও রয়েছে তাদের মধ্যে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবী তাদের।

যদিও ছিনতাই ও ডাকাতির বিষয়টি মাথায় রেখে ওই অংশে পুলিশ টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল।

তিনি জানান, ৩০ কিলোমিটার মহাসড়ককে চারটি ভাগে ভাগ করে পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হযেছে। কোনো ধরনের সমস্যা বা সন্দেহ হলে দ্রুত পুলিশকে জানানোর আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। এদিকে জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুর রহমান জানিয়েছে, আপাতত চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক করতে সড়কটির সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে।

‘জিয়াউর রহমান ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা’– এ্যাড. বুলু

এহসানুল হক, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ৬:১৪ পিএম
‘জিয়াউর রহমান ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা’– এ্যাড. বুলু

‘জিয়াউর রহমান ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা’ বলে মন্তব্য করেছেন ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. লিয়াকত আলী খান বুলু।

ফরিদপুরের নগরকান্দায় জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।  এসময় লিয়াকত আলী খান বুলু জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেন।

বুধবার (৪ জুন) নগরকান্দা পৌর বিএনপির সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুজ্জামান অনু, উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা দেলোয়ার হোসেন ঝিলু, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মো. বিল্লাল হোসেন মোল্লা, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি মহিদ বিল আল মাহিম প্রমুখ।

আলোচনাসভা শেষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করেন তাঁরা।

ফরিদপুরে গরু বোঝাইকৃত পিকআপ উল্টে এক ব্যবসায়ী নিহত

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ৯:৩৩ পিএম
ফরিদপুরে গরু বোঝাইকৃত পিকআপ উল্টে এক ব্যবসায়ী নিহত
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে গরু বোঝাইকৃত পিকআপ উল্টে লিয়াকত মোল্যা (৪০) নামে এক ব্যবসায়ী নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাঝকান্দি-বোয়ালমারী-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কাদিরদী বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদী এলাকার ইউপি সদস্য বুলবুল আহমেদ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মাগুরা জেলার গোপালনগর ইউনিয়নের সংকোচ খালী এলাকার তিন ব্যবসায়ী কয়েকটি গরু বোঝাইকৃত ট্রাক নিয়ে ফরিদপুর টেপাখোলা গরুর হাটে যাচ্ছিলেন। তারা মহম্মদপুর-বোয়ালমারী উপজেলার সীমান্ত ব্রীজ পার হয়ে ফরিদপুর জেলার কাদিরদী বাজার এলাকায় পৌঁছালে পিকআপ থেকে গরু লাফ দিলে গরু বোঝাইকৃত পিকআপ উল্টে যায়। এ সময় পিকআপে থাকা লিয়াকত মোল্যাসহ দুই ব্যবসায়ী আহত হয়। স্থানীয়রা মারাত্মক আহত অবস্থায় দুই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক লিয়াকত মোল্যাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় অপর ব্যবসায়ী ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদী এলাকার ইউপি সদস্য বুলবুল আহমেদ জানান, মাগুরা সদর থেকে গরু বোঝাইকৃত পিকআপটি ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা গরুর হাটে যাচ্ছিল। গরুর গাড়িটি কাদিরদী বাজারে আসলেই একটি গরু লাফ দিলে গাড়ীটি উল্টে ব্যবসায়ীরা চাপা পড়ে। সেখান থেকে আহত দুইজনকে ফরিদপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়। পরে জানতে পেরেছি লিয়াকত নামে ব্যবসায়ী মারা গেছে।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা এখনো অবগত নই। এমনকি ঘটনাটি আমাদের কেউ জানায়নি।