খুঁজুন
বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯ পৌষ, ১৪৩২

শরীরের সৌন্দর্য চর্চা থেকে সব কিছুতেই নিমপাতা উপকারী

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:৫৩ এএম
শরীরের সৌন্দর্য চর্চা থেকে সব কিছুতেই নিমপাতা উপকারী
শীতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতে নানা ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যায় শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে। সেই দিকটা বিবেচন করে নিমের গুণাগুণটা তুলে ধরা হলো। এরইমধ্যে নিমের বহু গুণাগুণের কথা বিবেচনা করেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘একুশ শতকের বৃক্ষ’ বলে ঘোষণা করেছে।

 

সেক্ষেত্রে টিকার পাশাপাশি অনেক প্রাকৃতিক উপাদানও বেশ উপকারী বলেও জানায় মেডিকেল নিউজ টুডে। শরীরের সৌন্দর্য চর্চা থেকে সব কিছুতেই নিমপাতা উপকারী। মেডিকেল নিউজ টুডের তথ্যানুযায়ী নিম, একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এটি ফ্রি র্যাডিকেলগুলির প্রভাবকে হ্রাস করে।

 

নিম পাতায় থাকা অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী রাখতে সহায়তা করে। এরসঙ্গে এটি দেহের অভ্যন্তরে উপস্থিত অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকেও মেরে ফেলে। এটি পেট পরিষ্কার রাখে এবং সে কারণেই এটি ত্বকের জন্যও কার্যকর। নিম পাতা হজমের জন্যও উপকারী।

এক কাপ নিমপাতায় ক্যালোরি থাকে ৩৫ গ্রাম। ফলে প্রতিদিন নিমপাতার রস খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। নিম পাতার নির্যাসে ডায়াবেটিস, ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নিমের কাণ্ড, মূল, বাকল এবং কাঁচা ফল সব ধরনের রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রয়েছে। নিমের ছালও গ্রামাঞ্চলে ত্বকের রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়।
এটি এমন একটি ওষুধি যা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলো বের করতে সাহায্য করে। এটি রক্ত সঞ্চালনও ঠিক রাখে। 

রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখে নিম পাতার রস :

নিম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চমৎকার ভাবে কাজ করে। নিমের পাতা রক্তের সুগার লেভেল কমতে সাহায্য করে। এছাড়াও রক্তনালীকে প্রসারিত করে রক্ত সংবহন উন্নত করে। ভালো ফল পেতে নিমের কচি পাতার রস প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন। সকালে খালি পেটে ৫টি গোলমরিচ ও ১০টি নিম পাতা বেটে খেলে তা ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে। আর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকলে সব রোগই নিয়ন্ত্রণে আসে।

কীভাবে খাবেন নিম পাতা :

আয়ুর্বেদের মতে, নিম চিনি বা চিনির মিছরির সঙ্গে খেলে কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। চাইলে প্রতিদিন একটি করে নিম ক্যাপসুলও নিতে পারেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি নিমপাতা অনেক রোগ নিরাময়েরও ক্ষমতা রাখে। এটি লিভার এবং হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে। তিতা স্বাদের কারণে অনেকে নিম পাতার রস খেতে চান না তবে আয়ুর্বেদের মতে, প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিম পাতার রস খাওয়া শুধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় না, শারীরিক নানা অসুস্থতাও কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে।

যেভাবে বানাতে পারেন : নিম পাতা ডাল থেকে ছড়িয়ে সিল-পাটায় বেটে মিহি করে নিতে হবে। এরপর ছোট ছোট বড়ি করে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। তারপর কাঁচের বোতলে রাখতে পারেন। এটি অনেকদিন পর্যন্ত আপনি এভাবে সংরক্ষণ করতে পারবেন। এর গুণাগুণ ভালো থাকবে। প্রতিদিন কাঁচা পাতা পাওয়া না গেলে এভাবে সেটি সংরক্ষণ করা যাবে।

নায়ক রিয়াজের মৃত্যুর খবর নিয়ে যা জানা গেল

বিনোদন ডেস্ক:
প্রকাশিত: বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৪:৩৮ পিএম
নায়ক রিয়াজের মৃত্যুর খবর নিয়ে যা জানা গেল

হঠাৎ করেই মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা রিয়াজ আহমেদের মৃত্যুর খবর। তবে এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য মেলেনি। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিরও এ বিষয়ে ধারণা নেই।

এ বিষয়ে জানতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রিয়াজের ঘনিষ্ঠ একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এমনটা হওয়ার কথা না। আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম। এমন কিছু হয়ে থাকলে এতক্ষণে তোলপাড় হয়ে যেত।’

৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকেই আত্মগোপনে চলে যান রিয়াজ। তার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কেউই জানেন না। গুঞ্জন রয়েছে, পালিয়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। আবার কেউ বলছেন, দেশেই আছেন কোথাও। রিয়াজের ব্যবহৃত নম্বরটিও বন্ধ রয়েছে।

শেখ হাসিনার পতনের আগ পর্যন্ত কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বেশ সরব ছিলেন রিয়াজ। বেশ কয়েকবার তাকে শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হতেও দেখা গেছে।

নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি থেকে টানা দুই যুগ রিয়াজ ছিলেন ঢালিউডের শীর্ষ জনপ্রিয় মুখ। ‘বাংলার নায়ক’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে নাম লেখান তিনি। এরপর একে একে অসংখ্য সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন।

২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রিয়াজ অভিনীত সর্বশেষ ‘অপারেশন সুন্দরবন’ সিনেমাটি মুক্তি পায়। এরপর আর নতুন কাজে তার দেখা মেলেনি।

 

 

তথ্য সূত্র : জাগোনিউজ

ফরিদপুর সদর-৩ আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী এডভোকেট মো. সরোয়ার হোসেন

মানিক কুমার দাস, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৪:২৭ পিএম
ফরিদপুর সদর-৩ আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী এডভোকেট মো. সরোয়ার হোসেন

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর সদর-৩ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেলেন এডভোকেট মো. সরোয়ার হোসেন।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) তার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফরিদপুর জেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারী খন্দকার ওহিদুজ্জামান।

মনোনয়নপত্র সংগ্রহকালে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কোতোয়ালি থানা শাখার সভাপতি হাফেজ আবু দাউদ, ফরিদপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইয়াকুব আলী, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ডা. আবু জাফর, পৌরসভা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আ. করিম, ইসলামী আন্দোলনের নেতা এমদাদুল হক টিটুসহ সংগঠনের অন্যান্য দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।

এ সময় নেতারা বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। এডভোকেট মো. সরোয়ার হোসেন একজন সৎ, যোগ্য ও জনবান্ধব নেতা হিসেবে ফরিদপুর সদর-৩ আসনের জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হবেন বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এডভোকেট মো. সরোয়ার হোসেন বলেন, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন এবং ইসলামী মূল্যবোধভিত্তিক সমাজ গঠনে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ফরিদপুর সদর-৩ আসনের সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন।

সদরপুরের চরাঞ্চলে দুর্যোগ সহনশীলতা জোরদারে ১৬ পরিবার পেল কাঠের নৌকা

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৪:১২ পিএম
সদরপুরের চরাঞ্চলে দুর্যোগ সহনশীলতা জোরদারে ১৬ পরিবার পেল কাঠের নৌকা

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চরনাছিরপুর ও ঢেউখালী ইউনিয়নের পদ্মা ও আড়িয়াল খা নদীবেষ্টিত দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় বসবাসরত মানুষের দুর্যোগ সহনশীলতা বাড়াতে কাঠের তৈরি নৌকা বিতরণ করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে সদরপুর উপজেলা প্রশাসন চত্বরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান উত্তরণ ও প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশন-এর সহযোগিতায় জুরিখ ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স প্রোগ্রাম-এর আওতায় এ নৌকা বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এতে চরনাছিরপুর ও ঢেউখালী ইউনিয়নের মোট ১৬টি উপকারভোগী পরিবারের মাঝে কাঠের নৌকা বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে নৌকা বিতরণ করেন সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শরীফ শাওন। তিনি বলেন, “নদীবেষ্টিত ও দুর্যোগপ্রবণ চরাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষায় এমন উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নৌকা শুধু যাতায়াতের মাধ্যম নয়, দুর্যোগকালে এটি মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও বড় ভূমিকা রাখবে।”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আল-মামুন শাহ, সদরপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরুন্নাহার বেগম, উত্তরণ সংস্থার প্রতিনিধি মোছা. চামেলী আক্তার, প্রণব কুমার দাস ও আমির হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, পদ্মা ও আড়িয়াল খা নদীর তীরবর্তী এসব চরাঞ্চলে প্রতি বছর বন্যা ও নদীভাঙনের ঝুঁকি থাকে। দুর্যোগ মোকাবিলায় নৌকা বিতরণ কার্যক্রম স্থানীয় মানুষের দৈনন্দিন জীবন ও জরুরি পরিস্থিতিতে বড় সহায়তা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন আয়োজকরা।