খুঁজুন
সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫, ১০ ভাদ্র, ১৪৩২

ফরিদপুরের যৌনপল্লিতে জন্মনিবন্ধন জটিলতায় স্কুলের বাইরে শিশুরা

শ্রাবণ হাসান, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯:১৫ এএম
ফরিদপুরের যৌনপল্লিতে জন্মনিবন্ধন জটিলতায় স্কুলের বাইরে শিশুরা
জন্মনিবন্ধনের ডিজিটাল ব্যবস্থায় বাবার পরিচয় দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকায় বিপাকে পড়েছে ফরিদপুরের যৌনপল্লির শিশুরা। অনেকেরই জন্মনিবন্ধন সনদ না থাকায় বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছে না। ফলে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা।
ফরিদপুর শহরের রথখোলা ও সিঅ্যান্ডবি ঘাট এলাকায় দুটি যৌনপল্লি রয়েছে। সেখানে থাকা ৩৮৯ যৌনকর্মীর শিশুসন্তান রয়েছে ২৯৬ জন। এসব শিশুর অধিকাংশের জন্মনিবন্ধন নেই।
এই শিশুদের আবাসিকের পাশাপাশি পড়াশোনার সুবিধা দিয়ে আসছে শাপলা মহিলা সংস্থা। দি ফ্রিডম ফান্ডের সহযোগিতায় শিশুদের জন্মনিবন্ধন নিয়ে কাজ করছে সংস্থাটি। এর কর্মকর্তারা জানান, ডিজিটাল হওয়ার আগে নিবন্ধন করা গেছে, কিন্তু বর্তমানে জটিলতা শুরু হয়েছে। জন্মনিবন্ধন করাতে না পারায় শিশুদের স্কুলে ভর্তি নিচ্ছে না।
শাপলা মহিলা সংস্থা শহরতলির গেরদায় শিশুদের আবাসনের জন্য গড়ে তুলেছে ভবন। বর্তমানে সেখানে ৫০ মেয়ে ও ৩৫ ছেলে রয়েছে। সেখানে থাকা শিক্ষার্থীরা জানায়, অনেকেই স্কুলে যাচ্ছে, ক্লাসও করছে, তবে ভর্তি হতে না পারায় হাজিরা খাতায় নাম উঠছে না। পড়াশোনা নিয়ে অনেক স্বপ্ন তাদের; কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জন্মনিবন্ধন।
সংস্থার প্রোগ্রাম অফিসার লক্ষ্মণ বিশ্বাস জানান, তাঁরা সারা দেশের ১১টি যৌনপল্লির মা ও শিশুদের বিভিন্ন অধিকার নিশ্চিতে কাজ করছেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মা ও শিশুদের জন্মসনদ। বর্তমানে যে অনলাইন সনদ, তা অনেকেরই নেই। এটা করতে যে কাগজপত্র দরকার, তা তাঁদের নেই।
লক্ষ্মণ বিশ্বাস বলেন, ‘২০২৫ সালে আমাদের হোমের ১৮টি শিশুকে এখনো ভর্তি করতে পারিনি। অনলাইন জন্মসনদ না থাকায় কোনো স্কুলই ভর্তি নেয়নি। এর মধ্যে কয়েকজন স্কুলে যাচ্ছে, ক্লাস করছে; কিন্তু ভর্তি হতে পারেনি। আমাদের লিখিত দিতে হয়েছে, স্কুলে কিছুদিনের মধ্যে জন্মসনদ দিতে হবে, তারপর স্কুল কর্তৃপক্ষ ভর্তি নেবে।’
এ নিয়ে কথা হলে সংস্থার উপ-নির্বাহী পরিচালক শ্যামল প্রকাশ অধিকারী জানান, অনেক মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) থাকলেও জন্মনিবন্ধন সনদ নেই। আবার যাঁদের আছে, সেখানে পেশার জায়গায় পতিতা এবং ঠিকানা হিসেবে যৌনপল্লি লেখা রয়েছে। অনেকেই এগুলো ব্যবহার করছেন না। এ কারণে শিশুদের জন্মনিবন্ধন করাতে সমস্যা হচ্ছে। আবার কারও মায়ের এনআইডিতে স্বামীর নাম নেই। ফলে বাবার নাম না থাকায় শিশুদের জন্মনিবন্ধন করা যাচ্ছে না।
শ্যামল অধিকারী বলেন, ‘আগে জন্মনিবন্ধন করা সহজ ছিল। ডিজিটাল পদ্ধতি আসার পর সার্ভারে বাবার নাম ছাড়া শিশুদের জন্মসনদ করা যাচ্ছে না। সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, যৌনপল্লির শিশুদের জন্মনিবন্ধন সহজীকরণ করলে তারা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারবে।’
সংস্থার নির্বাহী পরিচালক চঞ্চলা মণ্ডল জানান, শুধু মায়ের নামে সন্তানদের জন্মনিবন্ধন করা গেলে শিশুদের স্কুলে ভর্তি করা সহজ হতো।
রথখোলা যৌনপল্লির এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমার জন্মসনদ নেই। এনআইডি কার্ড আছে। সন্তানদের জন্মনিবন্ধন করাতে গেলে বাবার নাম জানতে চায়। আমরা চাই, শুধু মায়ের নামেই জন্মনিবন্ধন করার সুযোগ দেওয়া হোক। এ ছাড়া ঠিকানা যৌনপল্লির স্থলে আশপাশের এলাকার নাম দেওয়ার দাবি জানাই।’
সিঅ্যান্ডবি ঘাট যৌনপল্লি সদর উপজেলার ডিক্রিরচর ইউনিয়নে অবস্থিত। ডিক্রিরচর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হায়দার আলী খান জানান, আগে জন্মনিবন্ধন করা যেত; কিন্তু ডিজিটাল হওয়ার কারণে সার্ভারে বাবার নাম বা মায়ের জন্মসনদ না থাকলে শিশুদের সনদ করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক চৌধুরী রওশন ইসলাম বলেন, ‘আমি শুনেছি যৌনপল্লির শিশুদের জন্মনিবন্ধন করতে গিয়ে কোথাও কোথাও সমস্যা হচ্ছে। সবাইকে বলে দিয়েছি, জন্মসনদ করে দেওয়ার জন্য। শিশুদের বাবার নাম ছাড়া মায়ের নাম দিয়েই জন্মনিবন্ধন করা যাবে, নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
সম্প্রতি এ জটিলতা নিয়ে দুই যৌনপল্লির অনিবন্ধিত শিশু ও মায়েদের সঙ্গে সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার জেনারেল (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। এ সময় তিনি বলেন, সংশ্লিষ্টরা যেসব তথ্য দিতে সক্ষম হবেন, এর ওপর ভিত্তি করেই শিশুর জন্মনিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। শাপলা মহিলা সংস্থার প্যাডে শিশু ও তাঁদের মায়েদের তথ্যের প্রত্যয়ন দেওয়ার এবং ইউপি সচিবকে এর আলোকে জন্মনিবন্ধন দিতে ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন তিনি।

ভাঙ্গায় বিনামূল্যে তিন শতাধিক চোখের ছানি রোগীর অপারেশন

সোহাগ মাতুব্বর, ভাঙ্গা:
প্রকাশিত: রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫, ৭:১১ এএম
ভাঙ্গায় বিনামূল্যে তিন শতাধিক চোখের ছানি রোগীর অপারেশন

ইস্পাহানি ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট ও হসপিটালের উদ্যোগে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা শিবির ও ছানি অপারেশন করা হচ্ছে।

শনিবার (২৩ আগস্ট) দিনব্যাপী ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্র ইউনিয়নের মালীগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আব্দুর রশিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইস্পাহানি ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট ও হসপিটালের উদ্যোগে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পে প্রায় হাজার খানেক রোগীকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে এবং ছানি রোগীদের বাছাই করা হচ্ছে । ছানি রোগীদের পর্যায়ক্রমে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অপারেশন করা হবে।

ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, আজ তারা বিভিন্ন ধরনের চক্ষু চিকিৎসা প্রদান করে আসছেন এর মধ্যে ছানি রোগী বাছাই, নেত্রনালী রোগী, মাংস বৃদ্ধি রোগী সেবা অপারেশনের ব্যবস্থা করা হবে।

এ বিষয়ে আনোয়ারা মান্নান বেগ ফাউন্ডেশনের মহাসচিব স্থপতি মুজাহিদ বেগ জানান, আমরা পারিবারিকভাবে মানুষের নানান সেবামূলক কাজ করে আসছি। এর মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা একটি। আমরা ১৯৯০ সালের পর থেকে গরিব অসহায় মানুষকে বিনামূল্যে প্রায় ৩৬ হাজার মানষকে ছানি অপারেশন করে দিয়েছি। আমরা আমৃত্যু গরিব অসহায় মানুষকে এই সেবা প্রদান করবো। আমার সারা বছর ধরেই ক্যাম্প করে থাকি। আমাদের ক্যাম্পের একটা উদ্দেশ্য ছিল যে গরীব অসহায় মানুষের আমরা চোখের ছানি অপারেশনের মাধ্যমে চোখের আলো ফিরিয়ে আনতে পারি, যেন তারা দুনিয়ার আলো দেখতে পারে।

ইস্পাহানী গ্রুপের চেয়ারম্যান মির্জা সালমান ইস্পাহান আজ এই আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। যাদের ছানি অপারেশন করা হবে তাদের সম্পূর্ন ফ্রিতে থাকা খাওয়া ওষুধ সহ সব ফ্রিতে করা হবে।

তিনি আরও বলেন, আমার ভাই বাংলাদেশর মধ্যে অন্যতম বিখ্যাত চক্ষু চিকিৎসক মো. মহসিন বেগ ও আমাদের হাসপাতাল আনোয়ারা হামিদা গরীব অসহায় মানুষকে এই সেবা প্রদান করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ইস্পাহানি গ্রুপের সার্বিক সহোযগিতায় ইস্পাহানি ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের উদ্যোগে এই এলাকার তরুণ যুব সমাজের সার্বিক সহযোগিতায় আজ ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের মালীগ্রাম এলাকায় বিনামূল্য চক্ষু চিকিৎসা ও ছানি রোগী বাছাই করা হচ্ছে।

ফরিদপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫, ৭:১৮ পিএম
ফরিদপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে টাকার লোভ দেখিয়ে প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগে মফিজুর রহমান (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শুক্রবার দিবাগত রাতে ওই কিশোরীর বড় ভাই ইলিয়াস মল্লিক বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। মামলার পরপরই ওই রাতেই আসামী মফিজুর রহমানকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান।

এর আগে শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের একটি গ্রামে মসজিদের বাথরুমে এ ঘটনা ঘটে। ওই কিশোরীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আসামী মফিজুর রহমান সাতৈর ইউনিয়নের কেরশাইল গ্রামের বাসিন্দা ও তিনি স্থানীয় কেরশাইল জামে মসজিদে ইমামতি করতেন বলে জানা গেছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রতিবন্ধী ওই কিশোরী শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশে একটি দোকানে যাচ্ছিল। এ সময় ওই দোকানের পাশের বাড়ির মফিজ মল্লিক (৪২) টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীকে পাশের মসজিদের বাথরুমে নিয়ে ধর্ষণ করে। ওই কিশোরীর বড় ভাই মসজিদের বাথরুমে প্রস্রাব করিতে গেলে কান্নার শব্দ শুনে দরজা খুলে কিশোরীকে উদ্ধার করে। পরে ওই কিশোরীকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বড় ভাই ইলিয়াস মল্লিক বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-৩০। মামলার এ ঘন্টার মধ্যে আসামী মফিজুর রহমানকে নিজবাড়ি থেকে শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে গ্রেপ্তার করে শনিবার দুপুরে ফরিদপুর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় তার বড় ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। তবে মামলার এক ঘণ্টার মধ্যেই আসামি মফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। আসামিকে শনিবার ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ভাঙ্গায় ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছিল গৃহবধূর মরদেহ

আব্দুল মান্নান মুন্নু, ভাঙ্গা:
প্রকাশিত: শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫, ৭:০৫ পিএম
ভাঙ্গায় ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছিল গৃহবধূর মরদেহ

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সামিয়া আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার নাছিরাবাদ ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রাম থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

সে গজারিয়া গ্রামের জালাল শেখের কন্যা এবং কাউলীবেড়া ইউনিয়নের পল্লীবেড়া গ্রামের মুরাদ বেপারীর স্ত্রী। তাদের রাইসা মনি নামের ৮ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

তবে ছামিয়ার পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ বছর আগে পল্লীবেড়া গ্রামে মুরাদের সাথে পারিবারিকভাবে সামিয়াকে বিবাহ দেয়া হয়। এরপর থেকে স্বামী মুরাদের সাথে স্ত্রীর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য চলে আসছে। শনিবার সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। তারপর সকলের অজান্তে সামিয়া ঘরে গিয়ে আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

এ বিষয় ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন বলেন, শনিবার দুপুরে
নাছিরাবাদ ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রাম থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ফরিদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

এব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করতে পারে বলে জানান ওসি।