খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ, ১৪৩২

আলফাডাঙ্গায় হাত দিয়ে টান দিলেই উঠে আসছে সড়কের কার্পেটিং

আলফাডাঙ্গা প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫, ৭:৩৩ পিএম
আলফাডাঙ্গায় হাত দিয়ে টান দিলেই উঠে আসছে সড়কের কার্পেটিং

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাচুরিয়া ইউনিয়নে ভেন্নাতলা থেকে বেড়িরহাট পর্যন্ত সড়কের সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সড়কে কার্পেটিং করার পরদিনই হাত দিয়ে কার্পেটিং তুলে ফেলছেন স্থানীয়রা। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা। তবে উপজেলা প্রকৌশলী বলছেন, সাধারণত কার্পেটিংয়ের পর ৭২ ঘণ্টা লাগে সময় লাগে স্থায়ী হতে। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

হাত দিয়ে টান দিলেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং, এমন চিত্র ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাচুরিয়া ইউনিয়নের ভেন্নাতলা থেকে বেড়িরহাট পর্যন্ত সড়কের। বিক্ষুব্ধ স্থানীয়দের অভিযোগ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহমুদ এন্টারপ্রাইজ বিটুমিনসহ নিম্নমানের সামগ্রী গিয়ে সড়কের কার্পেটিং করায় এমন বেহাল দশা।

সূত্র জানায়, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাচুরিয়া ইউনিয়নের ভেন্নাতলা থেকে বেড়িরহাট পর্যন্ত সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। ৩ হাজার ৭০০ মিটার দীর্ঘ এ সড়ক উন্নয়নকাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

গত শনিবার (১৪ জুন) ভেন্নাতলা অংশে ১৫০ মিটার সড়কের কার্পেটিং করা হয়। পরদিন রোববার (১৫ জুন) দুপুরে ওই সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় এক মোটরসাইকেল আরোহী পরে যায়। পরে এলাকার লোকজন সড়কের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে টান দিলে কার্পেটিং উঠে আসে। এসময় সেখানে উপস্থিত থাকা সহকারী প্রকৌশলীসহ ঠিকাদারের লোকজনের কাছে বিষয়টি জানতে চায় স্থানীয়রা। এরপর একে একে শতাধিক মানুষ এসে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে এবং নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে সহকারী প্রকৌশলীসহ ঠিকাদারের লোকজন সেখান থেকে সরে যায়। এখন পর্যন্ত সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শুরু থেকে নিম্নমানের কাজের প্রতিবাদ করলেও তা আমলে নেয়া হয়নি। প্রথম থেকেই ঠিকাদার নিম্নমানের কাজ করছেন। তারা সঠিকভাবে কাজ করার জন্য বললেও ঠিকাদার শোনেননি। এ সময় তারা সড়কের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে টেনে কার্পেটিং উঠে যাওয়ার দৃশ্য দেখান। তাদের দাবি পুনরায় সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করা হোক সড়কটি।

সরেজমিনে সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাচুরিয়া ইউনিয়নের ভেন্নাতলা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে গেছে। স্থানীয় এলাকাবাসী হাত দিয়ে চাপড়া চাপড়া কার্পেটিং তুলছেন। এসময় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী নিম্নমানের কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ সময় তারা সড়কের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে টেনে কার্পেটিং উঠে যাওয়ার দৃশ্য দেখান।

স্থানীয় ভেন্নাতলা বাজারের মুদি দোকানি জুয়েল রানা বলেন, শুরু থেকে নিম্নমানের কাজ করা হচ্ছিল। বিভিন্ন সময় ঠিকাদারকে বিষয়টি বললেও সে কর্ণপাত করেনি। শনিবার বিকালে কার্পেটিং এর কাজ করে। রোববার দুপুরের দিকে সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক, ভ্যান চলাচল করলে বিভিন্ন জায়গায় দেবে যায়। পরে আমরা সড়কটির বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে দেখি কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। টান দিলেই চাপড়া ধরে উঠে আসছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মেহেদি হাসান কাছেদ বলেন, কার্পেটিংয়ের একদিন পর রোববার দুপুরে বাজারে গিয়ে দেখি সড়কের কার্পেটিং হাত দিয়ে তুলছে কয়েকজন। হাত দিয়ে টান দিলেই চাপড়া ধরে উঠে আসছে। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কার্পেটিং করায় এ অবস্থা।

তিনি আরো বলেন, ওই সময় সহকারী প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের লোক ছিল, বিষয়টি তাদের কাছে জানতে গেলে তাদের সাথে স্থানীয়দের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দুই তিন শত স্থানীয় এলাকাবাসী তাদের অবরুদ্ধ করে কাজ বন্ধ করে দেয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সহকারী প্রকৌশলীসহ ঠিকাদারের লোকজন দ্রুত ওই স্থান থেকে সটকে পরে। এখন পর্যন্ত কাজ বন্ধ রয়েছে। আমাদের দাবি সড়কটি পুনরায় সঠিকভাবে নির্মাণ করা হোক।

 

ভ্যানচালক সিরাজ বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ ভাঙ্গা চোরা সড়ক দিয়ে আমরা চলাচল করেছি। দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার পর সড়কের কাজ শুরু হওয়ায় আমরা খুব খুশি ছিলাম। কিন্তু এভাবে নিম্নমানের কাজ করা হবে এটা ভাবতে পারি নাই। কার্পেটিংয়ের একদিন পরই তা চাপড়া ধরে উঠে যাচ্ছে। এর চেয়ে আগের রাস্তাই ভালো ছিল। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুর রহমান বলেন, সড়কের কার্পেটিংয়ের অধিকাংশ কাজ বাকি রয়েছে। শুরুতেই এমন নিম্নমানের কাজ করায় ক্ষুব্ধ হয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী। প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের লোকজনের সাথে বাকবিতণ্ডার ঘটনাও ঘটেছে। প্রত্যাশা করছি বাকি কাজ টুকু ভালোভাবে সম্পন্ন করবে কর্তৃপক্ষ।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহমুদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মাহমুদ জানান, শিডিউল অনুযায়ী সড়কের নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ সত্য নয়। এলাকাবাসী বিষয়টি বুঝতে না পারায় আমাদের সাথে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। মূলত রাস্তার কার্পেটিং করার ৭২ ঘণ্টা সময় অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী হয় না। ২৪ ঘণ্টা পরেই তারা কার্পেটিং তুলে এধরনের অভিযোগ তুলেছে।

এলজিইডির আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রকৌশলী রাহাত ইসলাম জানান, গুণগতমান বজায় রেখেই কাজটি করা হচ্ছে। তবে স্থানীয় কিছু লোকজন গতকাল বিষয়টি বুঝতে না পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে যায়। সাধারণত কার্পেটিংয়ের পর ৭২ ঘণ্টা সময় লাগে স্থায়ী হতে। তবে ঠিকাদারের গাফিলতি আছে কিনা বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, স্থানীয় এলাকাবাসীর বাধার মুখে সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে দু-এক দিনের মধ্যে পুনরায় কাজ শুরু করা হবে।

ভাঙ্গায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

ভাঙ্গা প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১০:২৭ পিএম
ভাঙ্গায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের এক্সপ্রেসওয়ে মডেল মসজিদে সামনে বাসের ধাক্কায় বিল্লাল খাঁন (৩৫) নামের এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছে আরো ২ আরোহী।

বুধবার (০৬ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতের বাড়ি ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের জান্দি গ্রামে। সে ওই গ্রামের দেলোয়ার খানেঁর পুত্র ।

আহত হয়েছেন হাফিজুর রহমান (৩২) ও মাহবুব মিয়া (২৫) নামের দুই যুবক।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দ্রুতগামী স্টার ডিলাক্স নামের একটি পরিবহন পিছন থেকে একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলটি বাসের সামনে নিচে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেলের চালক নিহত ও দুই জন গুরুতর আহত হয়। আহত দুই জনকে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মামুন জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা স্টার ডিলাক্স নামের একটি বাস ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে মডেল মসজিদের সামনে পৌঁছালে তিন হোন্ডা আরোহীকে চাঁপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন হোন্ডা চালক ও দুই আরোহী আহত হয়েছেন। আহতদেরকে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে। বাসের চালক পালিয়ে গেছেন। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

এছাড়া বুধবার সকালে ভাঙ্গা উপজেলার সলিলদিয়া নামক স্থানে ঢাকাগামী একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হাইওয়ে এক্সপ্রেসওয়ে উপর উল্টে যায়। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সে থাকা ড্রাইভার সহ তিনজন গুরুতর আহত হয়।

সালথায় ট্রলির চাপায় প্রাণ গেল শিশুর

সালথা প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১০:২২ পিএম
সালথায় ট্রলির চাপায় প্রাণ গেল শিশুর

ফরিদপুরের সালথায় ট্রলির চাপায় হুসাইন কারিকর (৩) নামে এক শিশু নিহত হয়েছেন।

বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১ টার দিকে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের মৌলভীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশুটি যদুনন্দী গ্রামের মৌলভীপাড়া এলাকার নাজমুল কারিকরের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার দুপুরে একটি ট্রলি পুড়েপাড়া থেকে ইট নামিয়ে ফেরত আসার সময় মৌলভীপাড়া আজগরের বাড়ির সামনে শিশু হুসাইনকে চাপা দেয়। তৎক্ষণিক পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে মুকসুদপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, ট্রলির চাপায় শিশু নিহতের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ভাঙ্গায় সাপের কামড়ে প্রাণ গেল কৃষকের

আব্দুল মান্নান, ভাঙ্গা:
প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম
ভাঙ্গায় সাপের কামড়ে প্রাণ গেল কৃষকের

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের চরদুয়াইর গ্রামে সাপের কামড়ে কালাম মাতুব্বর (৫৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

সে চরদুয়াইর গ্ৰামের মৃত্যু হারেজ মাতুব্বরের ছেলে।

এর আগে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে পুকুরে পাট জাঁগ দিতে গেলে তাকে সাপে দংশন করে। পরে অসুস্থ অবস্থায় ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য কাঞ্চন মাতুব্বর জানায়, পাট জাঁগ দেওয়ার সময় তাকে সাপে দংশন করে। তারপর বাড়ি ফিরে অসুস্থ বোধ করলে পরিবারের লোকজন তাকে স্থানীয় ওঝা দিয়ে চিকিৎসা করান। সন্ধ্যায় বেশী অসুস্থ বোধ করলে তাকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসায় একটু সুস্থ বোধ করলে সকালে বাড়ি চলে আসেন। বুধবার সকালে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।