খুঁজুন
সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ৯ আষাঢ়, ১৪৩২

ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার জেরে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম আবারও ঊর্ধ্বমুখী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ১১:১৫ এএম
ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার জেরে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম আবারও ঊর্ধ্বমুখী

ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার জেরে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম আবারও ঊর্ধ্বমুখী  হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৮০ ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের তুলনায় ৩ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব ডব্লিউটিআই ক্রুডের দামও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ব্যারেলপ্রতি ৭৭ ডলারে, যা ৪ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি।

বিশ্ববাজারে এই তেলমূল্য বৃদ্ধির প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারেও। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ফিউচারের দাম কমেছে ০ দশমিক ৬ শতাংশ। একই সঙ্গে ট্রেজারি বন্ডের দামেও সামান্য পতন লক্ষ্য করা গেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার ফলে বিশ্ববাজারে তেলের দামে ব্যাপক ওঠানামা দেখা যাচ্ছে। কখনো যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় দাম বেড়ে যাচ্ছে, আবার উত্তেজনা কিছুটা কমে এলে তা কমছে।

বিশ্বের অন্যতম বড় তেল উৎপাদক দেশ ইরান। দেশটি মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক পথ হরমুজ প্রণালী-এর পাশেই অবস্থিত। এই প্রণালীর মাধ্যমেই বিশ্বের একটি বড় অংশের জ্বালানি তেল রপ্তানি হয়। এমন পরিস্থিতিতে ইরানের পক্ষ থেকে এই প্রণালী বন্ধের নীতিগত সিদ্ধান্তের ঘোষণা বিশ্ববাজারে বড় প্রভাব ফেলেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, হরমুজ প্রণালী বন্ধ হলে বিশ্ব জ্বালানি সরবরাহ চরমভাবে ব্যাহত হতে পারে। এর জেরে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি হতে পারে। ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে বড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ফরিদপুর পুলিশ লাইন্‌স স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ৪:৩৬ পিএম
ফরিদপুর পুলিশ লাইন্‌স স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা

ফরিদপুরের পুলিশ লাইনস্ স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

সোমবার (২৩ জুন) এ সংবর্ধনা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।

উক্ত বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আব্দুল জলিল।

এসময় তিনি পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। পরবর্তীতে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আব্দুল কায়ূম শেখ সহ অন্যান্য শিক্ষকমন্ডলী এবং পরীক্ষার্থীবৃন্দ।

ফরিদপুরে ‘বস্তায় আদা চাষ’ বিষয়ক মাঠ দিবস

তামিম ইসলাম, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ৩:৫৫ পিএম
ফরিদপুরে ‘বস্তায় আদা চাষ’ বিষয়ক মাঠ দিবস

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় এবং সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি (এসডিসি)-এর আয়োজনে ফরিদপুরের ছনেরটেক গ্রামে ‘বস্তায় আদা চাষ’ বিষয়ক একটি মাঠ দিবস সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

সোমবার (২৩ জুন) ফরিদপুর সদরের এসডিসির নর্থ চ্যানেল শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ৭৫ জন স্থানীয় কৃষক ও কৃষাণী অংশগ্রহণ করেন।

মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. ওমর আলী। তিনি বস্তায় আদা চাষের আধুনিক কৌশল, এর সুবিধা এবং বাণিজ্যিক সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “বস্তায় আদা চাষ কৃষকদের জন্য একটি লাভজনক ও টেকসই কৃষি পদ্ধতি। এটি সীমিত জায়গায় উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি মাটির উর্বরতা রক্ষায়ও সহায়ক।”

অনুষ্ঠানে এসডিসির কৃষি কর্মকর্তা সুমাইয়া হাসান বস্তায় আদা চাষের প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন। তিনি কৃষকদের হাতে-কলমে বস্তা প্রস্তুত, বীজ নির্বাচন, সার প্রয়োগ ও রোগবালাই প্রতিরোধের কৌশল শিখিয়েছেন। সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাজিদ আহমেদ এবং নর্থ চ্যানেল শাখার সহকারী শাখা ব্যবস্থাপক আহম্মেদ শেখও উপস্থিত থেকে কৃষকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

অংশগ্রহণকারী কৃষকরা এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, এ ধরনের প্রশিক্ষণ তাদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। স্থানীয় কৃষক রহিম মিয়া বলেন, “আমরা আগে জানতাম না যে বস্তায় এভাবে আদা চাষ করা যায়। এখন আমরা এই পদ্ধতি নিজেদের জমিতে প্রয়োগ করব।”

এসডিসির প্রতিনিধিরা জানান, এই মাঠ দিবসের উদ্দেশ্য ছিল কৃষকদের মাঝে আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষি পদ্ধতির প্রসার ঘটানো। ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে তারা আশ্বাস দেন।

মাঠ দিবসটি স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও আগ্রহ সৃষ্টি করেছে।

ইসরায়েলে টানা বেজে চলছে সাইরেন, একের পর এক শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের শব্দ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ৩:৪২ পিএম
ইসরায়েলে টানা বেজে চলছে সাইরেন, একের পর এক শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের শব্দ

ইসরায়েলে টানা বেজে চলছে সাইরেন। আর একের পর এক শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের শব্দ। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ইরান থেকে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।

এর জেরে সেন্ট্রাল ও দক্ষিণ ইসরায়েলের অনেক এলাকায় বিমান হামলার সতর্কতা হিসেবে সাইরেন বেজে উঠেছে। বিশেষ করে আসদোদ ও লাচিস শহরে এবং পশ্চিম জেরুজালেমের কাছাকাছি কয়েকটি জায়গায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে।

টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, জেরুজালেমে সাইরেন বাজা মাত্রই ইসরায়েলি সংসদ (নেসেট)-এর সদস্যরা দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান।

ইসরায়েল ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে সোমবার (২৩ জুন) সাংবাদিকদের রিপোর্ট করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই অনেকে পাশের দেশ জর্ডান থেকে খবর সংগ্রহ করছেন। এসব তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরান। এ হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৪৫০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তারা। এর মধ্যে অন্তত ৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত হেনেছে।

সেখানকার মানুষজন জানিয়েছেন, টানা ৩৫ মিনিট ধরে সাইরেনের আওয়াজ শোনা যায় এবং সেই সঙ্গে প্রবল বিস্ফোরণের শব্দ।

তবে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। কারণ, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী কোনো ভিডিও বা তথ্য প্রকাশে কড়া নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তাই বাইরের দুনিয়া সঠিকভাবে জানতে পারছে না আসলে কী ঘটছে।

গত ১০ দিনে ইরানের হামলায় ইসরায়েল বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সেন্ট্রাল ইসরায়েলে। তবে হাইফার মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরেও বারবার হামলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গতকাল ইরান আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে এক হামলা চালায়। সেই সময় কোনো সাইরেন বাজেনি। পরে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী নিশ্চিত করে যে এটি একটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ছিল—এটি ভুল করে ছোড়া নিজের প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ছিল না।

১৩ জুন ইসরায়েল ইরানে একটি বড় ধরনের হামলা চালায়। এতে দেশটির পরমাণু স্থাপনা, সামরিক ঘাঁটি ও আবাসিক এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। মারা যান ৪০০-র বেশি মানুষ। নিহতদের মধ্যে উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণু বিজ্ঞানী এবং সাধারণ নাগরিকও রয়েছেন।

এই হামলার পর ইরান দ্রুত প্রতিক্রিয়ায় নামে। ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি’ নামে এক অভিযানের অধীনে ২৩ জুন পর্যন্ত তারা ইসরায়েলের ওপর ২১ দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। পরিস্থিতি এখনো উত্তপ্ত।