খুঁজুন
বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯ পৌষ, ১৪৩২

ভোর মানেই নতুন শুরু: প্রকৃতির কোলে প্রশান্ত সকালের গল্প

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:৫২ এএম
ভোর মানেই নতুন শুরু: প্রকৃতির কোলে প্রশান্ত সকালের গল্প

ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই প্রকৃতি যেন নতুন দিনের বার্তা নিয়ে হাজির হয়। রাতের নীরবতা ভেঙে পাখির কিচিরমিচির, হালকা কুয়াশার আড়ালে সূর্যের প্রথম আলো আর শিশিরভেজা ঘাস—সব মিলিয়ে সকাল মানেই এক অনাবিল প্রশান্তির সময়।

সকালের এই সময়টায় প্রকৃতি তার সবচেয়ে শান্ত ও নির্মল রূপে ধরা দেয়। মাঠের আল ধরে হাঁটলে পায়ের নিচে নরম শিশিরের ছোঁয়া অনুভূত হয়। গাছের পাতায় জমে থাকা পানির ফোঁটাগুলো সূর্যের আলোয় ঝিলমিল করে ওঠে। পুকুরের স্থির জলে আকাশের প্রতিবিম্ব আর দূরের গ্রামের পথ ধরে ধীরে চলা মানুষের ছায়া—সবকিছু মিলিয়ে এক অপূর্ব দৃশ্যের জন্ম নেয়।

স্থানীয় পরিবেশবিদদের মতে, ভোরের প্রকৃতি মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। সকালের নির্মল বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা তুলনামূলক বেশি থাকায় এই সময়টায় হাঁটাহাঁটি করলে শরীর ও মন দুটোই সতেজ থাকে। নিয়মিত ভোরের আলোয় প্রকৃতির সংস্পর্শে থাকলে মানসিক চাপ কমে এবং দিনের কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়ে।

গ্রামীণ জীবনে ভোরের প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক আরও গভীর। কৃষক মাঠে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন, জেলে জাল গুছিয়ে নদীর দিকে রওনা দেন, আবার কেউ কেউ ফজরের নামাজ শেষে দাঁড়িয়ে পড়েন খোলা আকাশের নিচে। এই সময় প্রকৃতি আর মানুষের মধ্যে এক নীরব যোগাযোগ তৈরি হয়।

তবে আধুনিক ও যান্ত্রিক জীবনে ভোরের এই সৌন্দর্য অনেকটাই আড়ালে চলে যাচ্ছে। দেরিতে ঘুমানো, ব্যস্ত সকাল আর মোবাইল ফোনের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরতায় প্রকৃতির এই সময়টাকে অনেকেই আর অনুভব করতে পারছেন না। অথচ প্রতিদিন মাত্র কয়েক মিনিট ভোরের প্রকৃতির দিকে তাকানোই পারে সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে।

প্রকৃতি প্রতিটি সকালে আমাদের নতুন করে শুরু করার শিক্ষা দেয়। গত রাত যেমন শেষ হয়ে যায়, তেমনি প্রতিটি ভোর নিয়ে আসে নতুন আলো, নতুন আশা। ভোরের এই নীরব বার্তাই মনে করিয়ে দেয়—জীবন এখনো সুন্দর, এখনো এগিয়ে যাওয়ার মতো।

শীতের সকালে আদা চা খাওয়ার উপকারিতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:৪৯ এএম
শীতের সকালে আদা চা খাওয়ার উপকারিতা
শীতকালে আদা চা খাওয়ার উপকারিতা অনেক। সাধারণত মোশন সিকনেসের সমস্যায় ভুগলে বমি ভাব, ঠান্ডা অনুভূতি, শরীর ব্যথা, অলসতা ঘিরে ধরে। এ সময় সর্দি, কাশি ও কফের সমস্যাও দেখা দেয় অনেকের। আর এসব সমস্যার সমাধান দিতে পারে আদা চা।

 

আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে যে, আদা প্রায় সব ধরনের রোগ নিরাময়ে কার্যকরী। নিয়মিত আদা খাওয়ার অভ্যাস শরীরকে নীরোগ রাখার ক্ষমতা রয়েছে। আদার জিঞ্জেরল একটি জৈব-সক্রিয় পদার্থ। এটি বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়ার মতো উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে।

এই পদার্থটি পেশীর ফোলা জয়েন্ট কমাতেও সাহায্য করে।

অন্যদিকে শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ায় শরীরকে চাঙা করতে চায়ের বিকল্প নেই। দ্রুত অলসতা ভাব কাটিয়ে কাজে মনোযোগী হতেও দারুণ কাজ করে এটি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজ তাক বাংলার প্রতিবেদন থেকে আসুন জেনে নিই, শীতে আদা চা খাওয়ার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে:

১. ঋতু পরিবর্তনের সময় গরম থেকে শীত আসার মুহূর্তে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে।

যে কারণে ঠান্ডা লাগার সাথে সর্দি-কাশি-কফের সমস্যায় ভোগেন অনেক রোগী। তাই নিয়মিত আদা চায়ের অভ্যাস এ সমস্যা থেকে অনেকটাই আপনাকে দূরে রাখতে পারে।

২. শীতের রুক্ষ্ম পরিবেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে ত্বক। ত্বকের কুচকে যাওয়ার সমস্যা, ফেটে যাওয়া কিংবা চুলকানির সমস্যা দেখা দিলে তার সমাধানে নিয়মিত খেতে পারেন আদা চা।

৩. আদা চায়ের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।

যে কারণে ঠান্ডা বা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও তা থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে আদা চা।

৪. শীতে ত্বকের রুক্ষ্মতার পাশাপাশি শরীরেও এর প্রভাব পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে পানি খাওয়ার পরিমাণও এ সময় অনকে কমে যায়। যে কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয় অনেকের। আর এ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সমাধানেও কাজ করতে পারে আদা চা।

৫. হাড়, পেশীর ব্যথা সারাতেও নিয়মিত খেতে পারেন আদা চা।

৬. শীতে রক্তে শর্করার মাত্রা ও ওজন নিয়ন্ত্রণেও দারুণ কাজ করতে পারে আদা চা। রক্ত জমাট বাধার মতো সমস্যার সমাধান করে। রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।

৭. হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। শরীর সুস্থ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও কার্যকরী আদা চা।

দেশে ফিরতে আজ লন্ডন ছাড়ছেন তারেক রহমান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:৪৬ এএম
দেশে ফিরতে আজ লন্ডন ছাড়ছেন তারেক রহমান
দেশে ফেরার উদ্দেশ্যে আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্তরাজ্য সময় সন্ধ্যায় লন্ডন থেকে রওনা দেবেন।

দলীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকবেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান।

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি।

দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাকে স্বাগত জানাতে ঢাকায় স্মরণকালের অন্যতম বড় গণসংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি কুড়িল সংলগ্ন পূর্বাচল হাইওয়ে এক্সপ্রেস এলাকায় যাবেন, যেখানে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। 

বিএনপি নেতাদের প্রত্যাশা, এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক অংশ নেবেন। তাদের ধারণা, উপস্থিতির দিক থেকে এটি অতীতের সব রাজনৈতিক সমাবেশ ও সংবর্ধনাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।

দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণও আশা করছে বিএনপি। 

দলীয় সূত্র অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে তারেক রহমানের বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। তার আগমন ঘিরে পূর্বাচল এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি দলীয় স্বেচ্ছাসেবকরাও সুশৃঙ্খলভাবে আয়োজন সম্পন্ন করতে কাজ করছেন। 

সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিক অনুমতিও পেয়েছে বিএনপি। মঞ্চ নির্মাণসহ সার্বিক প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ইতোমধ্যে দফায় দফায় দলের শীর্ষ নেতারা অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করে প্রস্তুতির অগ্রগতি দেখছেন।

উল্লেখ্য, ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় ২০০৮ সালে কারামুক্ত হয়ে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান তারেক রহমান।

এরপর দীর্ঘ সময় তিনি সেখানেই অবস্থান করেন। যদিও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান একাধিকবার দেশে এলেও এতদিন তারেক রহমানের দেশে ফেরা সম্ভব হয়নি।
বাংলানিউজ

প্রার্থী হচ্ছেন আহমেদ শরীফ

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:৪০ এএম
প্রার্থী হচ্ছেন আহমেদ শরীফ
দীর্ঘদিন ধরে প্রবাস জীবন কাটাচ্ছেন ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের শক্তিমান অভিনেতা আহমেদ শরীফ। সম্প্রতি দেশে ফিরেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানালেন তিনি। আসন্ন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী হচ্ছেন তিনি।  

আহমদ শরীফ গণমাধ্যমে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিছু কাজ নিয়ে দেশে এসেছি।

কিছুদিন থেকে চলে যাব। তবে নির্বাচনের আগে অবশ্যই আমি আসব। শিল্পী সমিতির জন্য যারা কাজ করতে চান, তাদের নিয়ে একটা প্যানেল করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। 

সভাপতি পদে নির্বাচন করার তথ্য জানিয়ে আহমেদ শরীফ বলেন, সবার সঙ্গে কথা বলছি।

আসন্ন শিল্পী সমিতি নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা আছে। তবে এখনো কোনো প্যানেল চূড়ান্ত করিনি। কয়েক দিনের মধ্যেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারব বলে আশা করছি। 

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আহমদ শরীফ।

এরপর তিনবার সাধারণ সম্পাদক এবং চারবার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
error: Content is protected !!