ফরিদপুর-৪ আসনে আলোচনায় স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী মুফতি রায়হান জামিল
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ আসনে (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্যবসায়ী, শিক্ষক ও সমাজসেবক মুফতি রায়হান জামিল।
উপাধিসহ তার নাম মুফতি রায়হান জামিল তবে ডাকনাম রায়হান। ১৯৯০ সালে চরভদ্রাসন উপজেলার এমকে ডাঙ্গী গ্ৰামে তার জন্ম। তার পিতা মো. খবির শেখ। মাদরাসা থেকে তিনি হাফেজ মাওলানা ও মুফতি সম্পন্ন করেছেন।
তরুণ প্রজন্মের এই নেতা সারা বছর শিক্ষকতা, ব্যবসা ও সমাজসেবা নিয়ে থাকেন। আগে থেকেই তিনি রাজনৈতিক সচেতন মানুষ তবে কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। দল, মত, জাতি ও ধর্ম নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের সেবক হতে চান এজন্য তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন।
একজন প্রগতিশীল, জনবান্ধব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এলাকার গরীব-দুঃখী অসহায় মানুষের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি হিসেবে তিনি জানান, বেকার, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত ফরিদপুর-৪ আসন গড়তে চাই। সবার জন্য শিক্ষা, খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা ও বাসস্থান এর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চাই।
তার প্রধান মেসেজ হলো ‘সৎ লোকের শাসন চাই, দুর্নীতি মুক্ত সমাজ চাই, শোষক নয় সেবক হতে চাই।’
ফরিদপুর-৪ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী তরুণ প্রজন্মের নেতা মুফতি রায়হান জামিল বলেন, ‘বহু আগে থেকেই আমি অসহায় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করে আসছি। তারই ধারাবাহিকতায় দশ টাকায় ইলিশ মাছ বিক্রি, এক টাকা কেজি গরুর মাংস বিক্রি, দুই টাকা কেজি চাল বিক্রি, দশ টাকা হালি ডিম বিক্রি, ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থান, ফ্রি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, ফ্রি সেলাই প্রশিক্ষণ, গর্ভবতী মায়েদের জন্য ফ্রি গাড়ি সেবাসহ অসংখ্য উদ্যোগের মাধ্যমে সব সময় মানুষের কল্যাণে কাজ করার চেষ্টা করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমার এই সেবামূলক কার্যক্রম কখনোই ভোট পাওয়া বা ভাইরাল হওয়ার উদ্দেশ্যে নয়; বরং একমাত্র লক্ষ্য হলো : আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং গরিব-অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। আমি শুধু ফরিদপুর জেলাতেই নয়, অন্য জেলাতেও এসব সেবামূলক কাজ করে আসছি। যদি উদ্দেশ্য কেবল ভোট হতো, তবে আমি অন্য জেলায় এসব কাজ করতাম না।’
তরুণ এই নেতা বলেন, একজন মুসলমানের প্রতিটি কাজই হওয়া উচিত আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। তা দান করা হোক বা রাজনীতি করা হোক যখনই আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করা হয়, তখন সেটি ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত হয়।
তিনি আরও বলেন, ইনশাআল্লাহ আমার সেবামূলক কার্যক্রম সবসময় অব্যাহত থাকবে। আপনাদের সবার কাছে আন্তরিকভাবে দোয়া কামনা করছি, যেন আল্লাহ আমার এই প্রচেষ্টাগুলো কবুল করেন।
তরুণ এই সুশীল ব্যক্তি, ফরিদপুর-৪ আসন এলাকার অবহেলিত ও গণমানুষের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে (স্বতন্ত্র) এমপি প্রার্থী হিসেবে রায়হান জামিল ইতোমধ্যেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। তিনি ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ, সুবিধা অসুবিধা ও বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে নিজের উপস্থিতি মজবুত করছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি শুধু প্রতিশ্রুতিতে নয় বরং বাস্তবায়নে বিশ্বাস করি। যদি ভোটাররা আমাকে সুযোগ দেন, আমি ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসনকে উন্নয়নের মডেল হিসেবে গড়ে তুলব।’
তিনি শুধুমাত্র রাজনীতিবিদ নন, তিনি সামাজিক উন্নয়নের কাজেও সক্রিয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, যুবসমাজের উন্নয়ন, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিমূলক কর্মকাণ্ডে তার অবদান ব্যাপক প্রশংসিত। স্থানীয়রা মনে করেন, এমন তরুণ নেতৃত্ব আমাদের এলাকায় সবসময় প্রয়োজন।

আপনার মতামত লিখুন
Array