খুঁজুন
শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

গুম ও আয়নাঘরের একাল সেকাল

এহ্সান মাহমুদ
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:৩৫ এএম
গুম ও আয়নাঘরের একাল সেকাল

আমার জন্মের ১৫ মাস পরের এক সকালে আব্বু নিখোঁজ হয়েছিলেন। আম্মু আর ছোট মামা বরিশালের মুলাদী থানায় এই ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারা সেটি না করতে পেরে ফিরে এসেছিলেন। ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। আমার স্কুলশিক্ষক বাবার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। তখন স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলন দিন দিন তীব্র হচ্ছে; এমন সময়ে গ্রামের একজন স্কুলশিক্ষক গুম হয়ে গেলেন।

সেই ঘটনার তিন দশক পর বাংলাদেশ আবারও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অভিজ্ঞতা পেল। ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশত্যাগ করতে বাধ্য হলেন শেখ হাসিনা। তারপরই উন্মোচিত হলো আয়নাঘর। আওয়ামী লীগ আমলে গুম হয়ে থাকা কেউ কেউ ফিরে এলেন। অনেকেই ফিরলেন না। যারা ফিরেছেন, তাদের বক্তব্য, পরিবারের সদস্যদের স্বজন ফিরে পাওয়া হাসিমুখের ছবি আমরা টেলিভিশনের পর্দায় ও খবরের কাগজে দেখেছি। বিপরীতে যাদের স্বজন ফিরে আসেনি, তাদের দীর্ঘশ্বাস কি আমরা টের পাচ্ছি? সম্ভবত পাচ্ছি না। যেমনটা পাইনি সাজেদুল ইসলাম সুমনের স্বজনের পরিবারের দীর্ঘশ্বাস।

সাজেদুল ইসলাম সুমন ছিলেন ঢাকা মহানগরের এক ওয়ার্ড বিএনপির নেতা। ২০১৩ সালের ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে নিখোঁজ হন। সেদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও পাঁচজন। নিখোঁজের কিছুক্ষণ পরই খবর পায় পরিবার। এর পর আশপাশের থানা, ডিবি অফিস, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তারা। কিন্তু কোনো খোঁজ মেলেনি।
সুমনের দুই মেয়ে। বাবা নিখোঁজের সময় ছোট মেয়ের বয়স ছিল ২ বছর। একজন নিখোঁজ মানুষের সন্ধানে থানা-পুলিশে গিয়ে যে কাজের কাজ কিছু হয় না, তার প্রমাণ তো আমাদের পরিবার থেকেই পেয়েছিলাম। রাষ্ট্রের নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা যে বাহিনী বা সংস্থার, তার কাছেই উল্টো নাগরিকের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়লে মানবিক রাষ্ট্রের ধারণা বাধাগ্রস্ত হয়।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিগত আমলে গড়ে ওঠা টর্চার সেল, যা ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত, সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। সেই পরিদর্শন টিমে রাখা হয়নি সুমনের পরিবারের কাউকে। অথচ আমরা জানি, সুমনের বোনের প্রায় একক চেষ্টায় গড়ে উঠেছিল ‘মায়ের ডাক’ সংগঠনটি, যেটি কাজ করে গুম হওয়া পরিবার নিয়ে।
৩০ বছর আগে মফস্বলের একটি থানা মুলাদী কিংবা বর্তমানের রাজধানী ঢাকার টর্চার সেলের সামনে গুমের শিকার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটে। আমরা দেখতে পাই, রাষ্ট্রের চরিত্রের কোনো বদল হয় না। তাহলে এত এত শহীদের জীবন, পঙ্গু মানুষের আর্তনাদ কি বৃথা?

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গোপন বন্দিশালায় বিনা বিচারে মানুষকে আটকে রাখা হতো। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অনেকে বন্দিশালা থেকে মুক্তি পান। গুমের ঘটনা তদন্তে অন্তর্বর্তী সরকার গত ২৭ আগস্ট গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন গঠন করে। সেই কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আটটির বেশি গোপন বন্দিশালা শনাক্ত করেছে কমিশন। তাদের ভাষ্য, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), র‍্যাব ও পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের মতো সংস্থাগুলো এসব গোপন বন্দিশালা পরিচালনা করত।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার ঢাকার তিনটি গোপন বন্দিশালা পরিদর্শন করেছেন। এগুলো রাজধানীর আগারগাঁও, কচুক্ষেত ও উত্তরায় অবস্থিত। বন্দিশালা পরিদর্শন শেষে তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার আইয়ামে জাহেলিয়াত যুগের একটা নমুনা প্রতিষ্ঠা করে গেছে। আমাকে নতুন করে বলতে হবে না। বর্ণনা দিতে গেলে বলতে হয়– আয়নাঘরের ভেতরে খুবই বীভৎস দৃশ্য। এখানে মনুষ্যত্ববোধের কিছু নেই। যা হয়েছে তা নৃশংস’ (সমকাল, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫)।

এ ধরনের নৃশংস ঘটনা থেকে আমরা কি শিক্ষা নিতে পারি না? পরিতাপের বিষয়, সম্ভবত আমরা কেউই শিক্ষা নিতে আগ্রহী না। নাগরিকের নিরাপত্তা, সুশাসন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এখনও তাই অধরা রয়ে যায়। এমনকি এই পরিবারগুলোর প্রতি ন্যূনতম যে মানবিক আচরণ করার কথা, সেটাও আমরা দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছি।
গুমের শিকার হয়েছেন যারা, তাদের পরিবারগুলোর উদ্দেশে প্রতিবছর ৩০ আগস্ট আন্তর্জাতিক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। ‘গুম’ বলতে এখন বোঝানো হয়– সরকারের কোনো বাহিনীর পক্ষ থেকে কাউকে তুলে নিয়ে যাওয়া। বেসরকারি কোনো গোষ্ঠী বা অপরাধী চক্রের তুলে নেওয়া সাধারণত ‘অপহরণ’ আখ্যা পায়।

গুমের সংজ্ঞা নির্ধারণ করেছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৯৯২ সালে ৪৭/১৩৩ নম্বর প্রস্তাব গ্রহণের মাধ্যমে। তাতে বলা হয়েছে, সরকারের কোনো পর্যায় বা কোনো শাখার কর্মকর্তা অথবা সরকারের পক্ষে কিংবা তার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সমর্থন অথবা সম্মতি নিয়ে কোনো বেসরকারি সংগঠিত গোষ্ঠী কাউকে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার, আটক বা অপহরণ করে তাঁর ব্যক্তিস্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করলে এবং তাঁকে আইনের পরিধির বাইরে রেখে দিয়ে তাঁর অবস্থান জানাতে অস্বীকার করাই হচ্ছে গুম।

কেউ মারা গেলে অথবা কাউকে হত্যা করা হলে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। স্বজনদেরও ধীরে ধীরে কষ্ট কমতে থাকে। মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা সম্পদের উত্তরাধিকার লাভ করেন। কিন্তু গুমের শিকার হলে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। ভুক্তভোগী বেঁচে আছেন, নাকি মারা গেছেন– শুধু এই তথ্যটুকু না পাওয়া প্রতিমুহূর্তে তাদের যন্ত্রণায় বিদ্ধ করতে থাকে। গুমের ঘটনা খুনের চেয়েও খারাপ অপরাধ। মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের গত বছরের আগস্টের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে সাতশর বেশি মানুষ গুম হওয়ার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ১৫০ জনের বেশি মানুষের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি।

৫ আগস্টের পরে ‘নতুন বাংলাদেশ’ কথাটি বেশ উচ্চারিত হচ্ছে। আমরা ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়তে চাই, এটা সত্যি। তার আগে নিশ্চিত করা দরকার, ইতোমধ্যে ঘটা ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি যেন না হয়।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পরিচালিত ফেসবুক পেজে আয়নাঘরের বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। আয়নাঘরে বন্দিদের কাহিনি এখন সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যাচ্ছে। দেখা গেল একাধিক বন্দির সাক্ষাৎকার। তিক্ত, ভয়ানক ও রোমহর্ষক ঘটনার যে বিবরণ তাতে উঠে এসেছে এবং এসব বর্ণনাকালে একেকজন বন্দির চোখেমুখে যে আতঙ্ক প্রকাশমান, তা মর্মন্তুদ। ‘নতুন বাংলাদেশে’ আমরা এমন মর্মন্তুদ ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই না। একই সঙ্গে আগের ঘটনার যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় বিচার নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে এই বার্তা দিতে হবে– মানবতাবিরোধী এসব অপরাধের বিচার থেকে কেউ রেহাই পাবে না। বিচার নিশ্চিত হলেই ভবিষ্যতে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা সহজ হবে। ভবিষ্যতের সহজ কাজটির জন্য এখন দরকার একটি যথাযথ আইনি ও বিচার প্রক্রিয়া। প্রধান উপদেষ্টার প্রতি এই আস্থাটুকু রাখতে চাই।

এহ্‌সান মাহমুদ: সহকারী সম্পাদক, সমকাল; কথাসাহিত্যিক

ফরিদপুরে বেহাল মহাসড়কে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি, ডাকাতির শঙ্কা

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ৬:২৪ পিএম
ফরিদপুরে বেহাল মহাসড়কে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি, ডাকাতির শঙ্কা

 

 

ভাঙ্গা উপজেলা থেকে ফরিদপুর জেলা সদর পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় এবারের ঈদ যাত্রায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ঘর মুখো মানুষকে।

একদিকে খানাখন্দে ভরপুর সড়ক দিয়ে চলাচলে প্রায়শ ভেঙ্গে যাচ্ছে যানবাহনের যন্ত্রপাতি, অন্যদিকে ওই সড়ক অতিক্রমে ভোগান্তির পাশাপাশি ধীর গতির কারণে যথাসময়ে গন্তব্যে পৌছাতে না পারাসহ রাতে ছিনতাই ও ডাকাতির শংকা রয়েছে ঘরমুখো যাত্রীদের মাঝে। যদিও ফরিদপুরের পুলিশ সুপার বলছেন, ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওই অংশে রাতের বেলায় পুলিশ টহল বাড়ানো হয়েছে। তাই শংকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

বরিশাল-ফরিদপুর মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলা এক্সপ্রেসওয়ের শেষ প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের দুরত্ব ৩০ কিলোমিটার, যা দীর্ঘদিন প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে খানাখন্দে ভরে গেছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বেড়েছে খানা-খন্দের পরিমান।

এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই সড়ক ব্যবহার করে যাতায়াত করা ফরিদপুরসহ অন্তত ১০ জেলার মানুষ। ফরিদপুরের সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাদের এই সড়কটির ব্যাপারে উদাসীনতাকে দায়ি করছে এই সড়কে যাতায়াতকারীরা।

ওই সড়ক ব্যবহারকারী যানবাহন চালক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খানাখন্দের কারণে প্রায়শ গাড়ীর যন্তপাতি ভেঙ্গে যাচ্ছে। এছাড়া ধীর গতিতে যানবাহন চালাতে হচ্ছে, ফলে নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পেছানো যাচ্ছেনা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।

এই সড়ক দিয়ে ঢাকাগামী মাইক্রোচালক আবুল হোসেন বলেন, এয়ারপোর্টে যাচ্ছি যাচ্ছি আনতে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত সড়কের যে অবস্থা তাতে গাড়ির গতিসিমা সর্বোচ্চ ১৫ বেশি চালানো যায় না। মহাসড়কের গতি যদি এরকম হয় সে ক্ষেত্রে ডাকাতি সহ নানা পদের ঝামেলার আশঙ্কা থাকে।

এদিকে গাড়ী নষ্ট হওয়া ও ধীর গতির কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন ঘরমুখো মানুষেরাও। এছাড়া রাতে ধীর গতির কারণে ছিনতাই বা ডাকাতির মতো ঘটনার শংকাও রয়েছে তাদের মধ্যে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবী তাদের।

যদিও ছিনতাই ও ডাকাতির বিষয়টি মাথায় রেখে ওই অংশে পুলিশ টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল।

তিনি জানান, ৩০ কিলোমিটার মহাসড়ককে চারটি ভাগে ভাগ করে পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হযেছে। কোনো ধরনের সমস্যা বা সন্দেহ হলে দ্রুত পুলিশকে জানানোর আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। এদিকে জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুর রহমান জানিয়েছে, আপাতত চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক করতে সড়কটির সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে।

‘জিয়াউর রহমান ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা’– এ্যাড. বুলু

এহসানুল হক, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫, ৬:১৪ পিএম
‘জিয়াউর রহমান ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা’– এ্যাড. বুলু

‘জিয়াউর রহমান ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা’ বলে মন্তব্য করেছেন ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. লিয়াকত আলী খান বুলু।

ফরিদপুরের নগরকান্দায় জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।  এসময় লিয়াকত আলী খান বুলু জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেন।

বুধবার (৪ জুন) নগরকান্দা পৌর বিএনপির সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুজ্জামান অনু, উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা দেলোয়ার হোসেন ঝিলু, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মো. বিল্লাল হোসেন মোল্লা, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি মহিদ বিল আল মাহিম প্রমুখ।

আলোচনাসভা শেষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করেন তাঁরা।

ফরিদপুরে গরু বোঝাইকৃত পিকআপ উল্টে এক ব্যবসায়ী নিহত

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ৯:৩৩ পিএম
ফরিদপুরে গরু বোঝাইকৃত পিকআপ উল্টে এক ব্যবসায়ী নিহত
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে গরু বোঝাইকৃত পিকআপ উল্টে লিয়াকত মোল্যা (৪০) নামে এক ব্যবসায়ী নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাঝকান্দি-বোয়ালমারী-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কাদিরদী বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদী এলাকার ইউপি সদস্য বুলবুল আহমেদ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মাগুরা জেলার গোপালনগর ইউনিয়নের সংকোচ খালী এলাকার তিন ব্যবসায়ী কয়েকটি গরু বোঝাইকৃত ট্রাক নিয়ে ফরিদপুর টেপাখোলা গরুর হাটে যাচ্ছিলেন। তারা মহম্মদপুর-বোয়ালমারী উপজেলার সীমান্ত ব্রীজ পার হয়ে ফরিদপুর জেলার কাদিরদী বাজার এলাকায় পৌঁছালে পিকআপ থেকে গরু লাফ দিলে গরু বোঝাইকৃত পিকআপ উল্টে যায়। এ সময় পিকআপে থাকা লিয়াকত মোল্যাসহ দুই ব্যবসায়ী আহত হয়। স্থানীয়রা মারাত্মক আহত অবস্থায় দুই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক লিয়াকত মোল্যাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় অপর ব্যবসায়ী ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদী এলাকার ইউপি সদস্য বুলবুল আহমেদ জানান, মাগুরা সদর থেকে গরু বোঝাইকৃত পিকআপটি ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা গরুর হাটে যাচ্ছিল। গরুর গাড়িটি কাদিরদী বাজারে আসলেই একটি গরু লাফ দিলে গাড়ীটি উল্টে ব্যবসায়ীরা চাপা পড়ে। সেখান থেকে আহত দুইজনকে ফরিদপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়। পরে জানতে পেরেছি লিয়াকত নামে ব্যবসায়ী মারা গেছে।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা এখনো অবগত নই। এমনকি ঘটনাটি আমাদের কেউ জানায়নি।