খুঁজুন
রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫, ২ ভাদ্র, ১৪৩২

ফরিদপুরে স্কুল ছাত্রের উপর নির্যাতনের বিচার চেয়ে মানববন্ধন

ফরিদপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ৪:২২ পিএম
ফরিদপুরে স্কুল ছাত্রের উপর নির্যাতনের বিচার চেয়ে মানববন্ধন
ফরিদপুরে স্কুলে যাওয়ার পথে পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে ও নদীতে চুবিয়ে নির্যাতনের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।
সোমবার (১২ মে) দুপুরে সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চিলারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে চিলারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মোহসিন খান জানায়, গত ৮ মে স্কুলে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে প্রথমে ধরে মারপিট করে পাশের নদীতে চুবায়। সেখান থেকে স্কুলে যাওয়ার পরে আবার তাকে জোর করে স্কুল থেকে ধরে নিয়ে মুখে গামছা বেধে টানা হেচড়া করে এলোপাথাড়ীভাবে চড়থাপ্পড় কিলঘুষি মারে ও লাঠি দিয়ে পেটায়।
এসময় হামলাকারীরা তাদের বিরুদ্ধে তার   বাবার দায়েরকৃত মামলা তুলে নিতে বলে মামলা তুলে না নিলে তাকে খুন করার হুমকি দেয়া হয় বলে মোহসিন অভিযোগ করেন।
মোহসিনের বাবা দেলোয়ার খান (৩৬) জানান, স্থানীয় এক যুবকের পরকিয়া সম্পর্কে বাধা দেওয়ায় গত বছরের ১২ জুন ইউপি মেম্বার মনিরুজ্জামান আবেদের নেতৃত্বে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন চালায়। হামলাকারীরা চোর আখ্যা দিয়ে দেলোয়ার খানের কোমর থেকে পা পর্যন্ত পিটিয়ে থেতলে দেয়। তিনমাস ঢাকা ও ফরিদপুরের ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসা নিয়ে তিনি কিছুটা সুস্থ হন।
মোহসিনের মা মিরা আক্তার (৩০) বলেন, তার স্বামীর উপর হামলার ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে কোতোয়ালি থানায় ৯ জনের নামোল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে। ওই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তার ছেলের উপরে এই নির্যাতন চালানো হয়।
এ ঘটনায় চিলারকান্দি গ্রামের রবিন শেখ (২০), শাহিন মল্লিক (২৫), উজ্জল শেখ (২৫), হাসিব মল্লিক (৪৯), হানিফ শেখের (৪৫)  বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। কোতোয়ালি থানার এএসআই রেজাউলের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করেছে।
মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়, থানায় অভিযোগ দিলেও এখনো পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি থানায়। অভিযুক্তরা এখনো প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে এবং থানা পুলিশ করলে আবারো মারপিট করবে বলে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে এএসআই রেজাউল বলেন, ঘটনার তদন্তে ওই শিশুকে মারধরের সত্যতা পাওয়া গেছে। এব্যাপারে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

চরভদ্রাসনে পুলিশের ওপেন হাউজ ডে

মুস্তাফিজুর রহমান শিমুল, চরভদ্রাসন:
প্রকাশিত: শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫, ৮:১২ পিএম
চরভদ্রাসনে পুলিশের ওপেন হাউজ ডে

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন থানা পুলিশের আয়োজনে ওপেন হাউজ ডে উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেল ৪ টার দিকে চরভদ্রাসন থানা চত্বরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রজিউল্লাহ খানের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আজমীর হোসেন।

থানাটির এস,আই রফিকুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- এসআই ফরহাদ হোসেন, এসআই মাহমুদুল হাসান, উপজেলা বিএনপি’র সন্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক মো. ওয়াহিদুজ্জামান মোল্যা, উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও প্রস্তুুতি কমিটির সদস্য মো. শাহজাহান সিকদার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সন্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য এজিএম বাদল আমীন, সদস্য মো. মঞ্জুরুল হক মৃধা, মো. কুদ্দুস আলী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি শেখ সোলায়মান, সমাজ সেবক মো. মোস্তফা কবীর ও ছাত্রনেতা পিএম কামরুল হাসান প্রমুখ।

এছাড়া শিক্ষক, ব্যাবসায়ী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা ফরিদপুরের চরভদ্রাসন শেষ সীমানা পাটপাশা সহ উপজেলার গুরত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থানে পুলিশ টহল জোরদারের পাশাপশি চরাঞ্চলের মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য নদীপথে পুলিশ বোড দিয়ে টহলের জোর দাবী জানান।

এছাড়া চরভদ্রাসন উপজেলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির পাশাপাশি বল্যবিবাহ ও মাদক নির্মূলে পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত রাখার জোর দাবী জানানো হয়।

ফরিদপুরে অসুস্থ গরু জবাই করে পালিয়ে গেল কসাই 

তৈয়বুর রহমান কিশোর, বোয়ালমারী:
প্রকাশিত: শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৫৮ পিএম
ফরিদপুরে অসুস্থ গরু জবাই করে পালিয়ে গেল কসাই 

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে অসুস্থ গরু জবাই করে চামড়া ছাড়ানোর সময় গরু ফেলে পালিয়ে যায় কসাই।

শনিবার (১৬ আগস্ট) মাধবপুর গ্রামের এহসানুল হক কলি তার একটি গর্ভবতী গাভী গরু অসুস্থ হলে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: শওকত আলীকে জানান।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বেলা ১১ টার দিকে তার বাড়িতে গিয়ে গরুটি সিজার করে বাচ্চাটি বের করেন। বের করার কিছুক্ষণের মধ্যে বাচ্চাটি মারা যায়। প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা চলে যাওয়ার পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এহসানুল হক কলি মধুখালী উপজেলার এক কসাইয়ের নিকট ৩৫ হাজার টাকায় ওই অসুস্থ গরুটি বিক্রি করে দেন। কসাই গরু জবাই করে ছাড়ানোর সময় সাংবাদিক এসেছে এমন কথা শুনে গরু ফেলে পালিয়ে চলে যায়।

এহসানুল হক কলি বলেন, গরুটি ফুড পয়জন হয়েছিল তাই বিক্রি করে দিয়েছি।

কসাইদের না পাওয়ার কারণে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শওকত আলী বলেন, গাভী গরুটি অসুস্থ ছিল যেহেতু তার পেটের বাচ্চা ৯ মাস বয়স হয়েছিল তাই সিজার করে বাচ্চাটি বের করা হয়েছিল। পরে বাচ্চাটি মারা যায়। তবে ওই অসুস্থ গরুটি জবাই করে তারা নিজেরা মাংস খেতে পারে। ওই মাংস বাজারে বিক্রি করা নিষিদ্ধ।

বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে এহসানুল হক কলির বাড়িতে গিয়ে গরুটি দেখেশুনে বলে এসেছি মাংস যদি খেতে চান নিজেরা খেতে পারেন। এক টুকরা মাংস বাহিরে বিক্রি করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে।

ফরিদপুরে ফুল সজ্জিত গাড়িতে শিক্ষকদের রাজসিক বিদায়

মধুখালী প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫, ৮:১০ পিএম
ফরিদপুরে ফুল সজ্জিত গাড়িতে শিক্ষকদের রাজসিক বিদায়

ফরিদপুরের মধুখালীতে নানা আয়োজনে ও ফুল সজ্জিত গাড়িতে দুই শিক্ষক ও এক অফিস সহকারীকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার মেগচামী স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ আয়োজন হয়।

এসময় বিদায়ী শিক্ষকদের গলায় গাঁদা ফুলের মালা পরিয়ে মঞ্চ থেকে গাড়িতে নেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা গাড়ির দুই পাশে দাঁড়িয়ে করতালির দিয়ে অভিবাদন জানান। পরে ফুল সজ্জিত গাড়িতে শিক্ষকদের স্কুল থেকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। এর আগে স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্কাউট দল গার্ড অব অনার প্রদান করে।

বিদায়ীরা হলেন- সিনিয়র শিক্ষক ক্ষিতিশ চন্দ্র দাস, সরজিৎ চক্রবর্তী ও অফিস সহকারী মহিউদ্দিন মৃধা। তাদের প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-কর্মচারী, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এ সংবর্ধনা দেয়। বিদায় বেলায় এমন আয়োজনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বিদায়ী শিক্ষক-কর্মচারী।

বিদ্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ক্ষিতিশ চন্দ্র দাস ১৯৮৭ সালে স্কুলে যোগদান করেন, সিনিয়র শিক্ষক সরজিৎ চক্রবর্তী ১৯৮৪ সালে স্কুলে যোগদান করেন। তারা দীর্ঘ কর্মজীবনের ইতি টেনে অবসরে গেছেন। তাই প্রিয় শিক্ষকদের বিদায় জানাতে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা এসব আয়োজন করেন। দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে এমন সম্মান পেয়ে গর্ববোধ করেন তারা।

বিদায় অনুষ্ঠানে মেগচামী স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম মৃধা সভাপতিত্ব করেন।

সিনিয়র শিক্ষক কৃষ্ণ চন্দ্র কুন্ডুর সঞ্চালনায় বিদায়ী শিক্ষকরাসহ অন্যান্য শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন। এসময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিদায়ী শিক্ষকদের উপহার প্রদান করেন।

মেগচামী স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম মৃধা বলেন, দীর্ঘদিনের কর্মজীবন শেষ করে গুণী শিক্ষক ও একজন অফিস সহকারী অবসরে গেছেন। তাই প্রিয় শিক্ষকদের বিদায় জানাতে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এসব আয়োজন করেন।