খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮ পৌষ, ১৪৩২

ফরিদপুরে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই মধুমতি তীর রক্ষা বাঁধে ধ্বস

নুর ইসলাম, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ৬:৪৪ পিএম
ফরিদপুরে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই মধুমতি তীর রক্ষা বাঁধে ধ্বস
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই বৃষ্টির পানিতে ধ্বসে গেছে মধুমতি নদীর ডান-তীর রক্ষা বাঁধের কয়েকটি অংশ। এতে নদীর তীরে বসবাসরত শতাধিক পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। 
এলাকাবাসীর অভিযোগ, কাজের মনিটরিং ব্যবস্থা দুর্বল থাকায় এবং যথাযথ ডাম্পিং না করে সিসি ব্লক বসানোর কারণে বৃষ্টির পানিতেই বাঁধ ধসে পড়েছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তারা এখনো কাজ বুঝে পাননি। কাজে অনিয়ম হলে তার দায়ভার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকেই নিতে হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ও টগরবন্দ ইউনিয়নের মিলনস্থল চর আজমপুর এলাকায় ডান-তীর রক্ষায় ৩০০ মিটার বাঁধের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স লিটন মল্লিক। কিন্তু গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির পানিতে বাঁধের আনুমানিক ৩০ মিটার ধ্বসে পড়ার দৃশ্য দেখা যায়। এতে সিসি ব্লকগুলো পর্যায়ক্রমে নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, জেলার আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী উপজেলার সীমান্তবর্তী মধুমতি নদীর পূর্বপাড়ে দীর্ঘ কয়েক বছর তীব্র ভাঙনের কবলে পড়ে ফসলি জমি, ঘর-বাড়ি, স্কুল, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা। নদী পাড়ের অনেক বসতি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে কয়েকবার বসতি স্থাপনা পাল্টিয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে। গত সরকারের আমলে এলাকাবাসীর দাবির পেক্ষিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের চেষ্টায় মধুমতি পাড়ে সাড়ে ৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। যা ‘মধুমতি নদী ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন’ নামে ২০২৩ সালের ৬ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ওই প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৮১ কোটি ১০ লাখ টাকা।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে ২৮টি প্যাকেজে কাজটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মধুমতি নদীর ডান তীর রক্ষায় ২৮টি প্যাকেজের মধ্যে ২ নম্বর প্যাকেজের আওতায় আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের চর আজমপুর এলাকায় ৩০০ মিটার বাঁধ নির্মাণের জন্য কাজ পায় মেসার্স লিটন মল্লিক নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ৩০০ মিটার বাঁধ নির্মাণের কাজটি প্রায় শেষের দিকে। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে নির্মাণ কাজের কয়েক জায়গা ধসে পড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে কাজটি চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
স্থানীয় বাসিন্দা হান্নান শরীফ (৬৩) নামে এক ব্যক্তি বলেন, নদী ভাঙন প্রতিরোধে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হলে আমরা আশায় বুক বেঁধেছিলাম। কিন্তু কাজ শেষ না হতেই বৃষ্টির পানিতেই বাঁধ ধ্বসে পড়েছে। দ্রুত তীর সংরক্ষণ বাঁধ মেরামত না করা হলে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শেফালী বেগম (৫৫) নামে এক বাসিন্দা জানান, স্থায়ী বাঁধ হওয়ার কারণে গত দুই মাস আগে ধারদেনা করে বাড়িতে একটা ঘর দিয়েছি। কিন্তু সেই স্থায়ী বাঁধও নদীতে যদি ভেঙে যায়। তাহলে তো আর কোথাও বলার জায়গা থাকলো না। আমরা এই এলাকায় বসবাস যাতে করতে পারি, সেই অনুযায়ী বাঁধটি যেন সরকার করেন।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে মেসার্স লিটন মল্লিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বার্ধীকারী লিটন মল্লিককে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোনটি ধরেননি।
তবে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার জিয়াউর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, নদীতে অতিরিক্ত পানির চাপে বাঁধের কিছু অংশ ধ্বসে গেছে। জরুরি ভিত্তিতে ওই অংশে বালু ভর্তি জিও ব‍্যাগ ফেলানো হচ্ছে। পরবর্তীতে নদীর পানি কমলে তা মেরামত করে দেওয়া হবে। আমাদের বাঁধ নির্মাণের কাজ এখনো চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে ধসে যাওয়া বাঁধ নির্মাণ কাজটির দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রকৌশলী মো. তৌফিকুর রহমান জানান, আমি সবেমাত্র ফরিদপুরে নতুন যোগদান করেছি। বাঁধ নির্মাণ কাজটি স্যারের (নির্বাহী প্রকৌশলী) সাথে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বাঁধের ধ্বসে যাওয়া অংশের কাজ পুণরায় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাজে কোন অনিয়ম আছে কি-না সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ভুয়া বারকোড ও বিএসটিআই লোগো: সদরপুরে নকল ক্লিনার কারখানায় অভিযান

শিশির খাঁন, সদরপুর:
প্রকাশিত: সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:২৭ পিএম
ভুয়া বারকোড ও বিএসটিআই লোগো: সদরপুরে নকল ক্লিনার কারখানায় অভিযান

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় লাইসেন্স ছাড়া বিএসটিআইয়ের লোগো ও ভুয়া বারকোড ব্যবহার করে নকল টয়লেট ক্লিনার, টাইলস ক্লিনার ও হ্যান্ডওয়াশ উৎপাদনের দায়ে একটি কারখানার মালিককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার ভাষানচর ইউনিয়নের আমিরাবাদ মোড় এলাকায় অবস্থিত বিজয় কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ নামের একটি কারখানায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত আনজুম পিয়া।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, সদর ইউনিয়নের পূর্ব শ্যামপুর এলাকার হান্নান বেপারীর ছেলে আরাফাত হোসেন বিজয় (১৯) দীর্ঘদিন ধরে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই লোগো ও ভুয়া বারকোড ব্যবহার করে নকল টয়লেট ক্লিনার, টাইলস ক্লিনার এবং হ্যান্ডওয়াশ উৎপাদন করে আসছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কারখানায় বিভিন্ন কেমিক্যালের বোতল, জার ও প্যাকেট জব্দ করা হয়।

এ সময় কারখানায় কোনো কারিগরি ডিগ্রীসম্পন্ন বা প্রশিক্ষিত কর্মী পাওয়া যায়নি। এছাড়া উৎপাদিত নকল পণ্য বাজারজাতের প্রমাণ পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত আনজুম পিয়া বলেন, “লাইসেন্স ছাড়া বিএসটিআইয়ের লোগো ও ভুয়া বারকোড ব্যবহার করে নকল পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করায় বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন আইন, ২০১৮ অনুযায়ী বিজয় কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের মালিককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, জনস্বার্থে এ ধরনের অবৈধ কারখানার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ফরিদপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন শিল্পপতি আবুল বাশার খান

মো. ইকবাল হোসেন, আলফাডাঙ্গা:
প্রকাশিত: সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৯:৫৬ পিএম
ফরিদপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন শিল্পপতি আবুল বাশার খান

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি আবুল বাশার খান।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রওশনা জাহানের কাছ থেকে আবুল বাশার খানের পক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তাঁর আপন ছোট ভাই ওবায়দুর রহমান খান।

মনোনয়নপত্র সংগ্রহকালে উপস্থিত ছিলেন আবুল বাশার খানের ঘনিষ্ঠ সমর্থক শাহ কামাল মাকসুর, মোহাম্মদ মিন্টুসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও শুভানুধ্যায়ীরা।

মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুর রহমান খান। তিনি বলেন, “ফরিদপুর-১ আসন থেকে আমার বড় ভাই শিল্পপতি আবুল বাশার খান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। এ লক্ষ্যে আজ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। আমরা সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে চাই এবং সমাজের নানা অনিয়ম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে চাই।”

তিনি আরও বলেন, “এই অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমরা একটি ইতিবাচক পরিবর্তন চাই। এলাকাবাসীর ন্যায্য দাবি ও প্রত্যাশা সংসদে তুলে ধরতে পারাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এজন্য সকলের দোয়া, ভালোবাসা ও সমর্থন কামনা করছি।”

এ সময় তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, “আপনাদের দেওয়া দায়িত্ব ও আমানত আমরা কখনো নষ্ট করব না। ফরিদপুর-১ আসনের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে আবুল বাশার খান কাজ করে যাবেন ইনশাআল্লাহ।”

মনোনয়নপত্র সংগ্রহের মধ্য দিয়ে ফরিদপুর-১ আসনে নির্বাচনী মাঠে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আবুল বাশার খানের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু হলো বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

ফরিদপুরে রতন শেখ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি লালবাগ থেকে গ্রেপ্তার

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮:৫৪ পিএম
ফরিদপুরে রতন শেখ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি লালবাগ থেকে গ্রেপ্তার

ফরিদপুরের কোতয়ালী থানায় দায়ের করা রতন শেখ (৪৫) হত্যা মামলার অন্যতম আসামি শ্রাবণ (২৮)–কে রাজধানীর লালবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১০।

র‌্যাব-১০ সূত্র জানায়, সন্ত্রাস ও সংঘবদ্ধ অপরাধ দমনে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে র‌্যাব-১০ এর সিপিসি-২ শ্রীনগর এবং সিপিএসসি লালবাগ ক্যাম্পের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাবের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৫ জুলাই ২০২৫ রাত আনুমানিক ১২টা ৩০ মিনিটে রতন শেখের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। এরপর তিনি বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। দীর্ঘ সময় খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান না পেয়ে তার স্ত্রী ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

পরবর্তীতে লোকমুখে খবর পেয়ে ভিকটিমের স্ত্রী জানতে পারেন যে, ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিগ্রীরচর নমডাঙ্গীর ডকইয়ার্ড এলাকায় পদ্মা নদীতে একটি অজ্ঞাতনামা লাশ ভাসছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি তার স্বামী রতন শেখের লাশ শনাক্ত করেন।

তদন্তে উঠে আসে, একই দিন রাত আনুমানিক ৪টার দিকে পূর্বশত্রুতার জেরে কয়েকজন ব্যক্তি পরস্পর যোগসাজশে রতন শেখকে হত্যা করে এবং লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে পদ্মা নদীতে ফেলে দেয়।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৫৮, তারিখ ২৮ জুলাই ২০২৫, দণ্ডবিধির ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় মামলা রুজু হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে র‌্যাব-১০ গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করে এবং অভিযানে নামে।

এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ থানাধীন বেরীবাঁধ এলাকা থেকে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি শ্রাবণ (২৮)–কে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত শ্রাবণের পিতার নাম ফরহাদ শেখ। তার বাড়ি ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন ফরিদাবাদ এলাকায়।

এ বিষয়ে র‌্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার বলেন,
“রতন শেখ হত্যা মামলাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে র‌্যাব-১০ গোয়েন্দা নজরদারি ও তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

র‌্যাব আরও জানায়, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হত্যা ও সংঘবদ্ধ অপরাধের বিরুদ্ধে তাদের এই ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।