খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ, ১৪৩২

ফরিদপুরে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই মধুমতি তীর রক্ষা বাঁধে ধ্বস

নুর ইসলাম, ফরিদপুর:
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ৬:৪৪ পিএম
ফরিদপুরে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই মধুমতি তীর রক্ষা বাঁধে ধ্বস
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই বৃষ্টির পানিতে ধ্বসে গেছে মধুমতি নদীর ডান-তীর রক্ষা বাঁধের কয়েকটি অংশ। এতে নদীর তীরে বসবাসরত শতাধিক পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। 
এলাকাবাসীর অভিযোগ, কাজের মনিটরিং ব্যবস্থা দুর্বল থাকায় এবং যথাযথ ডাম্পিং না করে সিসি ব্লক বসানোর কারণে বৃষ্টির পানিতেই বাঁধ ধসে পড়েছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তারা এখনো কাজ বুঝে পাননি। কাজে অনিয়ম হলে তার দায়ভার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকেই নিতে হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ও টগরবন্দ ইউনিয়নের মিলনস্থল চর আজমপুর এলাকায় ডান-তীর রক্ষায় ৩০০ মিটার বাঁধের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স লিটন মল্লিক। কিন্তু গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির পানিতে বাঁধের আনুমানিক ৩০ মিটার ধ্বসে পড়ার দৃশ্য দেখা যায়। এতে সিসি ব্লকগুলো পর্যায়ক্রমে নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, জেলার আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী উপজেলার সীমান্তবর্তী মধুমতি নদীর পূর্বপাড়ে দীর্ঘ কয়েক বছর তীব্র ভাঙনের কবলে পড়ে ফসলি জমি, ঘর-বাড়ি, স্কুল, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা। নদী পাড়ের অনেক বসতি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে কয়েকবার বসতি স্থাপনা পাল্টিয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে। গত সরকারের আমলে এলাকাবাসীর দাবির পেক্ষিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের চেষ্টায় মধুমতি পাড়ে সাড়ে ৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। যা ‘মধুমতি নদী ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন’ নামে ২০২৩ সালের ৬ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ওই প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৮১ কোটি ১০ লাখ টাকা।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে ২৮টি প্যাকেজে কাজটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মধুমতি নদীর ডান তীর রক্ষায় ২৮টি প্যাকেজের মধ্যে ২ নম্বর প্যাকেজের আওতায় আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের চর আজমপুর এলাকায় ৩০০ মিটার বাঁধ নির্মাণের জন্য কাজ পায় মেসার্স লিটন মল্লিক নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ৩০০ মিটার বাঁধ নির্মাণের কাজটি প্রায় শেষের দিকে। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে নির্মাণ কাজের কয়েক জায়গা ধসে পড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে কাজটি চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
স্থানীয় বাসিন্দা হান্নান শরীফ (৬৩) নামে এক ব্যক্তি বলেন, নদী ভাঙন প্রতিরোধে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হলে আমরা আশায় বুক বেঁধেছিলাম। কিন্তু কাজ শেষ না হতেই বৃষ্টির পানিতেই বাঁধ ধ্বসে পড়েছে। দ্রুত তীর সংরক্ষণ বাঁধ মেরামত না করা হলে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শেফালী বেগম (৫৫) নামে এক বাসিন্দা জানান, স্থায়ী বাঁধ হওয়ার কারণে গত দুই মাস আগে ধারদেনা করে বাড়িতে একটা ঘর দিয়েছি। কিন্তু সেই স্থায়ী বাঁধও নদীতে যদি ভেঙে যায়। তাহলে তো আর কোথাও বলার জায়গা থাকলো না। আমরা এই এলাকায় বসবাস যাতে করতে পারি, সেই অনুযায়ী বাঁধটি যেন সরকার করেন।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে মেসার্স লিটন মল্লিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বার্ধীকারী লিটন মল্লিককে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোনটি ধরেননি।
তবে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার জিয়াউর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, নদীতে অতিরিক্ত পানির চাপে বাঁধের কিছু অংশ ধ্বসে গেছে। জরুরি ভিত্তিতে ওই অংশে বালু ভর্তি জিও ব‍্যাগ ফেলানো হচ্ছে। পরবর্তীতে নদীর পানি কমলে তা মেরামত করে দেওয়া হবে। আমাদের বাঁধ নির্মাণের কাজ এখনো চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে ধসে যাওয়া বাঁধ নির্মাণ কাজটির দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রকৌশলী মো. তৌফিকুর রহমান জানান, আমি সবেমাত্র ফরিদপুরে নতুন যোগদান করেছি। বাঁধ নির্মাণ কাজটি স্যারের (নির্বাহী প্রকৌশলী) সাথে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বাঁধের ধ্বসে যাওয়া অংশের কাজ পুণরায় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাজে কোন অনিয়ম আছে কি-না সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ভাঙ্গায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

ভাঙ্গা প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১০:২৭ পিএম
ভাঙ্গায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের এক্সপ্রেসওয়ে মডেল মসজিদে সামনে বাসের ধাক্কায় বিল্লাল খাঁন (৩৫) নামের এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছে আরো ২ আরোহী।

বুধবার (০৬ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতের বাড়ি ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের জান্দি গ্রামে। সে ওই গ্রামের দেলোয়ার খানেঁর পুত্র ।

আহত হয়েছেন হাফিজুর রহমান (৩২) ও মাহবুব মিয়া (২৫) নামের দুই যুবক।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দ্রুতগামী স্টার ডিলাক্স নামের একটি পরিবহন পিছন থেকে একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলটি বাসের সামনে নিচে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেলের চালক নিহত ও দুই জন গুরুতর আহত হয়। আহত দুই জনকে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মামুন জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা স্টার ডিলাক্স নামের একটি বাস ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে মডেল মসজিদের সামনে পৌঁছালে তিন হোন্ডা আরোহীকে চাঁপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন হোন্ডা চালক ও দুই আরোহী আহত হয়েছেন। আহতদেরকে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে। বাসের চালক পালিয়ে গেছেন। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

এছাড়া বুধবার সকালে ভাঙ্গা উপজেলার সলিলদিয়া নামক স্থানে ঢাকাগামী একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হাইওয়ে এক্সপ্রেসওয়ে উপর উল্টে যায়। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সে থাকা ড্রাইভার সহ তিনজন গুরুতর আহত হয়।

সালথায় ট্রলির চাপায় প্রাণ গেল শিশুর

সালথা প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১০:২২ পিএম
সালথায় ট্রলির চাপায় প্রাণ গেল শিশুর

ফরিদপুরের সালথায় ট্রলির চাপায় হুসাইন কারিকর (৩) নামে এক শিশু নিহত হয়েছেন।

বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১ টার দিকে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের মৌলভীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশুটি যদুনন্দী গ্রামের মৌলভীপাড়া এলাকার নাজমুল কারিকরের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার দুপুরে একটি ট্রলি পুড়েপাড়া থেকে ইট নামিয়ে ফেরত আসার সময় মৌলভীপাড়া আজগরের বাড়ির সামনে শিশু হুসাইনকে চাপা দেয়। তৎক্ষণিক পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে মুকসুদপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, ট্রলির চাপায় শিশু নিহতের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ভাঙ্গায় সাপের কামড়ে প্রাণ গেল কৃষকের

আব্দুল মান্নান, ভাঙ্গা:
প্রকাশিত: বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫, ১০:১৭ পিএম
ভাঙ্গায় সাপের কামড়ে প্রাণ গেল কৃষকের

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের চরদুয়াইর গ্রামে সাপের কামড়ে কালাম মাতুব্বর (৫৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

সে চরদুয়াইর গ্ৰামের মৃত্যু হারেজ মাতুব্বরের ছেলে।

এর আগে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে পুকুরে পাট জাঁগ দিতে গেলে তাকে সাপে দংশন করে। পরে অসুস্থ অবস্থায় ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য কাঞ্চন মাতুব্বর জানায়, পাট জাঁগ দেওয়ার সময় তাকে সাপে দংশন করে। তারপর বাড়ি ফিরে অসুস্থ বোধ করলে পরিবারের লোকজন তাকে স্থানীয় ওঝা দিয়ে চিকিৎসা করান। সন্ধ্যায় বেশী অসুস্থ বোধ করলে তাকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসায় একটু সুস্থ বোধ করলে সকালে বাড়ি চলে আসেন। বুধবার সকালে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।